উহানের ল্যাবেই ছিল ৩টি সক্রিয় করোনাভাইরাস! ত্রাস সৃষ্টিকারী ভাইরাসের সঙ্গে এর মিল প্রায় ৮০%
করোনা সংক্রমণের জন্য আমেরিকা বার বার চিনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। উহানের ল্যাবরেটরি থেকেই করোনা সংক্রমিত হয়েছে কী না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বার বার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: চিনের যে ল্যাবরেটরির বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বার বার, উহানের ওই ল্যাবরেটরির ডিরেক্টরই এ বার সামনে আনলেন নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য। উহানের ওই ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর ওয়াং ইয়েনি জানান, এই ল্যাবেই ছিল বাদুরের শরীর থেকে সংগৃহিত ৩টি সক্রিয় করোনাভাইরাস!
সম্প্রতি চিনের সংবাদমাধ্যম CGTN-কে একটি সাক্ষাৎকারে উহানের ওই ল্যাবের ডিরেক্টর ওয়াং ইয়েনি জানান, বাদুরের শরীর থেকে সংগৃহিত ৩টি সক্রিয় করোনাভাইরাস ল্যাবে সংরক্ষণ করা হয়েছিল পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য। তবে এই ভাইরাসের সঙ্গে ত্রাস সৃষ্টিকারী Covid-19-এর যথেষ্ট ফারাক রয়েছে বলে দাবি করেন উহানের ওই ল্যাবের ডিরেক্টর। ওয়াং ইয়েনির দাবি, Covid-19-এর সঙ্গে তাঁদের ল্যাবের করোনাভাইরাসের 'মাত্র' ৭৯.৮ শতাংশ মিল রয়েছে!
উহানের ওই ল্যাবের আর এক অধ্যাপক ঝেংলি জানিয়েছেন, সার্স ভাইরাস মহামারির আকার নেওয়ার পর থেকেই ২০০৪ সাল থেকে তাঁরা করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁদের গবেষণা মূলত সার্স ভাইরাসকে রোখার জন্যই।
তবে উহানের ওই ল্যাবের ডিরেক্টরের দাবি যাই হোক না কেন, Covid-19-এর সঙ্গে চিনা ল্যাবের করোনাভাইরাসের ২০.২ শতাংশ ফারাক থাকার যুক্তি মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই।
করোনা সংক্রমণের জন্য আমেরিকা বার বার চিনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। উহানের ল্যাবরেটরি থেকেই করোনা সংক্রমিত হয়েছে কী না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে বার বার। সেই জল্পনাকেই উষ্কে দিয়েছিল মার্কিন ও ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থার হাতে আসা মোবাইল ফোনের কিছু গোপন ডেটা।
ওই সব গোপন নথিপত্র থেকেই জানা গিয়েছে, গত ৭ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত কোনও সেলফোন ব্যবহার করা হয়নি উহানের ওই ল্যাবে। সেলফোন আর স্যাটেলাইট ডেটা থেকেই এই তথ্য পেয়েছে বলে দাবি করেছে মার্কিন ও ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থা।
তারও আগে লন্ডনের ‘জেনেটিক ইনস্টিটিউট অব ইউনিভার্সিটি’র একদল গবেষক দাবি করেন, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে নয়, অক্টোবর মাসের শুরুর দিক থেকেই এই ভাইরাস ছড়াতে শুরু করেছিল। তাঁদের মত, এই ভাইরাস চিনেই প্রথম সংক্রমিত হয়েছিল।