ওয়েব ডেস্ক : জিকা ভাইরাসই নাকি এবার সারিয়ে তুলবে ক্রনিক ব্রেন টিউমার। ওয়াশিংটন ইউনির্ভাসিটি স্কুল অফ মেডিসিন ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে তাদের গবেষণার কাজ অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে গেছে। যদি সব ঠিক থাকে, তাহলে অল্প দিনের মধ্যেই ব্রেন টিউমার নামক এই দুরারোগ্য ব্যধির চিকিত্সার উপায় সহজ হয়ে যাবে বলে দাবি চিকিত্সকদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কীভাবে খোঁজ মিলল এই পদ্ধতির?


ওয়াশিংটন ইউনির্ভাসিটি স্কুল অফ মেডিসিনের গবেষক মিলন চেড্ডার দাবি, জিকা ভাইরাস নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো হচ্ছে। সম্প্রতি ব্রেন টিউমার আক্রান্ত ৩৩টি ইঁদুরের মধ্যে সেই ভাইরাস ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে প্রয়োগ করা হয়। দেখা গেছে এর ফলে ক্রমেই ছোট হতে শুরু করেছে টিউমারের আকার। সুস্থ হয়ে উঠছে ইঁদুরগুলি। এরপরই জিকা ভাইরাসের এমন কার্যক্ষমতা নিয়ে শুরু হয় আরও নিবিড় গবেষণা।


দেখা গেছে, কোনও মহিলা যদি গর্ভবতী অবস্থায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁর গর্ভে থাকা ভ্রূণের মাথার আকারে পরিবর্তন ঘটে। বদলে যায় সেই মাথার আকার। এই ছবি বার বার সামনে উঠে আসার পরই ওয়াশিংটন ইউনির্ভাসিটি স্কুল অফ মেডিসিনের পক্ষ থেকে শুরু হয় গবেষণা।


আরও পড়ুন- গাঁজা সেবনে নাকি সারতে পারে ‍'ক্যান্সার‍', বলছেন গবেষকরা!


দেখা গেছে, ব্রেন টিউমার দীর্ঘদিন ধরে বড় হতে হতে তা ক্যানসারে পরিণত হয়। চিকিত্সার জন্য প্রথমে অপারেশন ও তারপর রেডিয়েশন ও কেমোথেরাপি প্রয়োগ করা হয়। তারপরও অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।


সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট লুইসে ক্রনিক ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত কয়েকজন রোগীর শরীরে মেলে জিকা ভাইরাস। চিকিত্সার জন্য তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দেখা গেছে, জিকার ভাইরাসের প্রভাব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের শরীরে কমতে শুরু করেছে ব্রেন টিউমারের প্রভাব। ধীরে ধীরে ছোট হতে শুরু করেছে সেই টিউমার।