নিজস্ব প্রতিবেদন:  মান্ধাতার আমলের ভারী বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। অত্যাধুনিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে ঢাল হিসাবেও সে ভাবে ভরসা করা যায় না। এ নিয়েই সীমান্তে কঠিন পরিস্থিতিতে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন জওয়ানরা। তাঁদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেট একেবারেই আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে মানানসই বলে রিপোর্ট দিয়েছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: পুলকারের পিছনে ধাওয়া করে পুলিস পেল নকল মদ তৈরির কারখানার হদিশ


উপত্যকায় রোজ শহিদ হচ্ছেন জওয়ানরা। আর তাঁদের ব্যক্তিগত সুরক্ষাতেই বড় গলদ রয়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করল প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।


কমিটির রিপোর্টে বলা হয়েছে,


সেনা জওয়ানদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট, হেলমেটের মতো সরঞ্জাম একেবারেই আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে মানানসই নয়।


জওয়ানদের সুরক্ষায় অন্য অনেক দেশই আমাদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। সেনা সূত্রে খবর, ভারতীয় জওয়ানদের বুলেট প্রুফ জ্যাকেট খুব ভারী। আঠারো থেকে কুড়ি কেজি ওজন। তুলনায় অনেক হালকা জ্যাকেট ব্যবহার করে মার্কিন সেনা, যার ওজন দশ কেজির মধ্যে। আমাদের সেনা যে জ্যাকেট ব্যবহার করে তা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের প্রযুক্তিতে তৈরি। অন্যান্য দেশে কিন্তু এমন হয় না। পুরনো বুলেট প্রুফ জ্যাকেট অত্যাধুনিক অস্ত্রের সামনে  যথেষ্ট কার্যকর নয়। যদিও, আমেরিকা-সহ বহু দেশই তাদের সেনার সুরক্ষায় অত্যাধুনিক অস্ত্রের মোকাবিলায় সক্ষম জ্যাকেটই ব্যবহার করে।


আরও পড়ুন: ৩ কোটি টাকার প্রকল্পে তৈরি হবে সরকারি রসগোল্লা


২০০৯ সালের পর থেকেই সেনার জন্য আধুনিক বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটের উদ্যোগ থমকে রয়েছে। দরকার সাড়ে তিন লাখ জ্যাকেট। অর্ডার দেওয়া হয়েছে মাত্র পঞ্চাশ হাজারের। যদিও, লাল ফিতের ফাঁসে বাহিনীর হাতে সেটুকুও আসেনি বলে খবর।


আমরাই কি আমাদের জওয়ানদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছি না? সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এ প্রশ্ন ওঠার পাশাপাশি, গোটা বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবিতেও তুফান উঠেছে। সমস্যার সমাধান কবে হবে এখন সেদিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।