নিজস্ব প্রতিবেদন: মডেল ঊষসী সেনগুপ্ত হেনস্থাকাণ্ডে পুলিসের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে কড়া পদক্ষেপ করল লালবাজার। সাসপেন্ড করা হল চারু মার্কেট থানার ডিউটি অফিসার সাব ইন্সপেক্টর পীযূষ পালকে। এছাড়া কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে শো-কজ করা হয়েছে একগুচ্ছ আধিকারিককে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



সোমবার গভীর রাতে মধ্য কলকাতার এক্সাইড মোড়ে দুষ্কৃতী হামলার শিকার হন প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স ঊষসী সেনগুপ্ত। অভিযোগ, ময়দান থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে ওই ঘটনা ঘটলেও অভিযোগ, থানায় গিয়ে সাহায্য পাননি তিনি। তাঁকে জানানো হয়, ঘটনাস্থল চারু মার্কেট থানার অধীন। এর পর চারু মার্কেট থানায় গিয়েও অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি ঊষসী। তাঁকে বলা হয় ভবানীপুর থানায় যেতে। গভীর রাত পর্যন্ত দড়িটানাটানির পর অবশেষে চারু মার্কেট থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। 


ঘটনাটি ফেসবুকে পোস্ট করেন ঊষসী। সংবাদমাধ্যমে তা সম্প্রচারিত হতেই শুরু হয় তোলপাড়। কী করে গভীর রাতে দুষ্কৃতী হামলার শিকার মহিলাকে পুলিস এক থানা থেকে অন্য থানায় ঘোরাতে পারে তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিস সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেছে বলেও অভিযোগ ওঠে। 


যাবতীয় অভিযোগের তদন্তে বুধবারই কমিটি গড়ে কলকাতা পুলিস। যার নেতৃত্বে ছিলেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিক। সেই কমিটি নির্দেশেই সাসপেন্ড করা হয়েছে চারু মার্কেট থানার ডিউটি অফিসার পীযূষ পালকে। একই সঙ্গে শো কজ করা হয়েছে ময়দান থানার অতিরিক্ত সাব ইন্সপেক্টর পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভবানীপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর মেনন মজুমদারকে। 


বিমানবন্দরকাণ্ডে অভিষেকের শ্যালিকাকেও জেরা থেকে সাময়িক রেহাই দিল আদালত


ওদিকে এই ঘটনায় পুলিসের গাফিলতি কার্যত মেনে নিয়ে বুধবার অতিরিক্ত পুলিস সুপারদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন কলকাতার নগরপাল অনুজ শর্মা। কেন ঘটনার কথা লালবাজার কন্ট্রোল রুমে জানানো হল না তা নিয়ে বৈঠকে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এর পর এমন ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে পুলিশের কী করণীয় তা নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন নগরপাল।