ওয়েব ডেস্ক: ধৃত ১৩৫ জন সিপিএম নেতাকেই নিঃশর্ত মুক্তি দিল আলিপুর আদালত। গতকালই ভাঙড় কাণ্ডের প্রতিবাদে দেখাতে গিয়ে গ্রেফতার হয় শতাধিক সিপিএম নেতা কর্মী। প্রতিবাদে সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল আলিপুর কোর্ট চত্বর। পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও বেধে যায় সিপিএম কর্মীদের। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোর্ট চত্বরে মোতায়েন করা হয় কড়া প্রহরা।মাঝে কেটেছে মাত্র ২৪টা ঘণ্টা। এরই মধ্যে কিন্তু ঘটে গেল অনেকগুলো ঘটনা। শুক্রবার শিল্প সম্মেলন চলাকালীন মিলন মেলার বাইরে  আচমকাই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন সিপিএম নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন সুজন চক্রবর্তী,কান্তি গাঙ্গুলি ,মানব মুখার্জি, পলাশ দাসেরা। সঙ্গে ছিলেন দলের বহু সাধারণ কর্মী । বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধে  পুলিসের। পরে ২৫০ জনের বেশি সিপিএম কর্মী সমর্থককে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় লালবাজার সেন্ট্রাল লক আপে।লকআপে গিয়েও শুরু হয় নতুন করে অশান্তি।সিপিএম নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন, জামিনের জন্য ব্যকিতগত বন্ডে সই করবেন না তারা। তাঁরা নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান।পুলিস রাজি না হওয়ায় লকআপেই রাত কাটান ১৫০ জন সিপিএম নেতা কর্মী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন ২৪ ঘণ্টার উপর হামলা নিয়ে নিন্দা করলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান


শনিবার দুপুর ১টা।৮টি প্রিজন ভ্যানে চাপিয়ে ১৩৫ জনকে আনা হয় আলিপুর আদালতে।শনিবার সকাল থেকেই শুরু হয় রাস্তা অবরোধ করে সিপিএম কর্মীদের বিক্ষোভ।কোর্ট চত্বরে পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিও বাধে বিক্ষোভকারীদের।বিক্ষোভকারীদের আটকাতে কোর্টের মধ্যে ব্যারিকেড গড়তে হয় পুলিসকে।তবে বিক্ষোভ চলতেই থাকে।সুজন কান্তিদের সমর্থনে প্রায় ১০০ জন আইনজীবী দাঁড়িয়ে পড়েন কোর্টে। বিচারক সঙ্গে সঙ্গেই তাদের নিঃশর্ত মুক্তির নির্দেশ দেন। কর্মীদের স্লোগান আর পুস্পবৃষ্টির মধ্যে আদালত চত্বরের বাইরে অস্থায়ী মঞ্চে একের পর এক উঠে আসেন নেতৃত্ব।একদিনের জেলে কাটানোর অভিজ্ঞতার সঙ্গে আগামী দিনে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন সিপিএম নেতারা। কর্মীদের উচ্ছ্বাস তখন রীতিমতো বাঁধভাঙা। যে সাধারণ কর্মীরা লক আপে রাত কাটালেন, তাঁদের দেখে এবার উজ্জীবিত হবেন দলের নীচুতলার অন্যান্য কর্মীরাও,আশা সিপিএম নেতৃত্বের।


আরও পড়ুন আক্রান্ত ২৪ ঘণ্টা, মাঝ রাতে অফিসের নীচে হামলা, ভাঙা হয়েছে পাঁচটা গাড়ি