নিজস্ব প্রতিবেদন : এটিএম প্রতারণায় পুলিসের জালে দুই রুমানিয়ান নাগরিক। দিল্লির বসন্ত বিহার থেকে তাদের ধরেছে কলকাতা পুলিসের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ধৃতদের কাছ থেকে ২০টি নকল এটিএম কার্ড বা ক্লোন কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। মিলেছে এটিএম কার্ডে ব্যবহার হওয়া বেশ কিছু ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ। আর উদ্ধার হয়েছে মুখোশ, যা পরে তারা এটিএম-এ ঢুকত। দুজনের পাসপোর্টও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।


ধৃতদের ২২ জুলাই দিল্লির একটি রক্ষীবিহীন এটিএম থেকে টাকা তুলতে দেখা যায়। সিসিটিভি ক্যামেরায় পাওয়া সেই ফুটেজের সঙ্গে কলকাতার কয়েকটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ মিলিয়ে দেখা হয়। সেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেই চিহ্নিত করা হয় দুজনকে।


আরও পড়ুন, কড়াইতে 'কষা মাংস', স্বামীর অপেক্ষায় এখনও বসে ২ মাসের বিবাহিতা স্ত্রী


ধৃতদের জেরা করে পুলিস জানতে পেরেছে, ওই দু'জন মার্চ মাসে কলকাতায় এসেছিল। কসবা এলাকায় প্রায় দু'মাস ঘাঁটি গেড়ে থাকে তাঁরা। সেইসময়ই ব্যাঙ্ক জালিয়াতি চালিয়ে যায়। এই জালিয়াতি চক্রের এপিসেন্টার দিল্লিতে। দলে রয়েছে দিল্লি ও নাইজেরিয়ার কিছু যুবক। গোটা চক্রটি-ই বিদেশ থেকে চালিত হত।


চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার সামনে আসে শহর জুড়ে ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা। দেখা যায়, দিল্লির বিভিন্ন এটিএম থেকে কলকাতা শহরের বাসিন্দা বিভিন্ন ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের টাকা তুলে নেওয়া  হয়েছে। জালিয়াতির তদন্তে নেমে পুলিশ নিশ্চিত হয়, এটিএম মেশিনে স্কিমার লাগিয়েই কার্ডের তথ্য চুরি করা হয়েছে। তারপর নকল কার্ড তৈরি করে দিল্লির বিভিন্ন এটিএম থেকে টাকা তোলা হয়েছে।


আরও পড়ুন, নারদ তদন্তে বড়সড় অগ্রগতি, হাইকোর্টে রিপোর্ট সিবিআই-এর


শহরের বিভিন্ন এটিএম-এর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে লুঠেরার দলকে শনাক্ত করে পুলিস। দেখা যায়, ৪ এপ্রিল গোলপার্কের একটি এটিএম-এ প্রথম স্কিমার লাগানো হয়। তারপর ২১ এপ্রিলের মধ্যে ৪ বার ওই এটিএম-এ হানা দিয়েছিল হ্যাকাররা। এরপর বৃহস্পতিবার রাতেই কলকাতা পুলিস জানিয়ে দেয়, ব্যাঙ্ক জালিয়াতি পিছনে রয়েছে কোনও নাইজেরিয় গ্যাং। চক্রের পান্ডাদের ধরতে গতকালই দিল্লি রওনা দেয় কলকাতা পুলিসের একটি দল।