নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনের পর কীভাবে কখন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি খুলবে? শিক্ষাবর্ষ সূচিই বা কী হবে? এই নিয়ে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে একটি প্রস্তাব দিয়েছিল UGC। রাজ্যের ২ অধ্যাপক সংগঠন, পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি। আজ এক বিবৃতি জারি করে সেই প্রস্তাবকে অনেকাংশে সমর্থনের কথা জানাল। তাদের মতামত ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে লিখিতভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছে সংগঠন দুটি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সংগঠন দুটি জানিয়েছে, "আমাদের বক্তব্য হল: ১) ইউজিসি তাদের ২৯.৪.২০২০ তারিখের নির্দেশিকায় এই আপদকালীন পরিস্থিতিতে যে অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার, পরীক্ষাসূচি এবং রাজ্যগুলির বাস্তবতা মেনে যে বিকল্প পরীক্ষাপদ্ধতির প্রস্তাব করেছে সেগুলি মোটের উপর গ্রহণযোগ্য। কিন্তু এই গাইডলাইনের ৫ নং ধারায় বলা হয়েছে একান্তই যদি অতিমারীজনিত কারণে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হয়, তাহলে ছাত্রদের নম্বর দেওয়া যেতে পারে ৫০% কলেজের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন (Internal Examination) এবং ৫০% পূর্ববর্তী সেমেস্টোরে প্রাপ্ত নম্বরের যোগফলের ভিত্তিতে। কিন্তু CBCS-এ বিভিন্ন কোর্স স্ট্রাকচারের মধ্যে পার্থক্য  থাকায় একটি সেমেস্টারের ভিত্তিতে অন্য সেমেস্টারে নম্বর প্রদান সম্পূর্ণ  অসম্ভব ও অবৈজ্ঞানিক। এর ফলে SGPA হিসেবের ক্ষেত্রেও অস্পষ্টতা দেখা দেবে। তাই আমরা এই পরিস্থিতিতে, যদি একান্ত প্রয়োজন হয়, তবে চালু সেমেস্টারগুলোর ক্ষেত্রে ১০০% অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে নম্বর প্রদানের পক্ষপাতী। কিন্তু চূড়ান্ত সেমেস্টার বা বর্ষের পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রচলিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা শেষ পর্যন্ত করা উচিত বলে মনে করি।


২) যেহেতু এই বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এখনও শেষ হয়নি এবং সম্ভবত শেষ হবে জুনের শেষ দিকে, তাই ফলপ্রকাশ হবে অগস্টের কোনো এক সময়ে। এরপর ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ক্লাস শুরু করতে হবে সেপ্টেম্বরের মধ্যে। ফলে এ বছর ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য আমরা খুবই কম সময় পাব। এই অবস্থায় সুষ্ঠুভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া চালাতে গেলে একমাত্র বিকল্প online centralized counselling। এর উল্লেখ ইউজিসি গাইডলাইনেও রয়েছে।


৩) পরিবর্তমান বিশ্বে উচ্চশিক্ষাক্ষেত্রে ICT প্রয়োগের গুরুত্ব আমরা স্বীকার করি। কিন্তু বিশাল এই দেশে এই ব্যবস্থা পরিচালনা করার উপযুক্ত পরিকাঠামো এই মুহূর্তে আমাদের দেশ এবং দেশের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেই। কিন্তু তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ছাত্রসমাজের সিংহভাগ এই ব্যয়বহুল পদ্ধতির সুযোগ গ্রহণ করতে অসমর্থ। গত মাসখানেক সময় জুড়ে আমাদের অভিজ্ঞতা হল, সারা দেশে অনলাইন ব্যবস্থা খুব কম সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকেই পঠনপাঠনের মধ্যে আনতে পেরেছে। সাম্প্রতিক সর্বভারতীয় বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে একথা স্পষ্ট যে, আর্থ-সামাজিক বিবিধ কারণে প্রায় ৮৫-৯০% ছাত্রছাত্রী অনলাইন পঠনপাঠনের বাইরেই থেকে যাচ্ছে। আশার কথা হল, ইউজিসি বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্টেও সমগ্র দেশ জুড়ে অনলাইন পঠনপাঠনের এই সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং, এই পরিস্থিতিতে আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত, ছাত্রদের স্বার্থ ও নিরাপত্তাকে যথোপযুক্ত অগ্রাধিকার দিয়ে আগামী দিনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি খোলার সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ক্লাসরুমের মধ্যে সংঘটিত প্রত্যক্ষ পঠনপাঠনের মধ্য দিয়েই সঠিকভাবে সিলেবাস সম্পূর্ণ করা এবং পরীক্ষার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা।"


রাজ্যের ২ অধ্যাপক সংগঠনের এই বক্তব্যের পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, 



আরও পড়ুন, রাজ্যে একদিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১১ জন বেড়ে হল ৩৩, মৃত ১০৫ জনই কোভিড পজেটিভ