সুতপা সেন


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

৪১ বছর বাদে এত বড় ব্রিগেড। জ্যোতি বসুর পর। ১৯৭৭ সালে জ্যোতি বসু এমন ব্রিগেড করেছিলেন। তবে সেই ব্রিগেডকেও ছাপিয়ে যাবে বলে মঙ্গলবার দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ দিন সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানান তিনি। বাংলায় রথযাত্রা বাতিল করে শীর্ষ আদালত। আজই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে।


ব্রিগেড নিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, মেগা জনসভা হবে। জ্যোতি বসু ও অনেককে এনেছিলেন। তবে এত বড় হবে না। বামেদের বলেছিলাম। কিন্তু কিছু জানায়নি। ওদের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা থাকতেই পারে। আমি কিছু মনে করছি না।


লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধীদে জোট করতে এটাই বড় মঞ্চ হতে চলেছে। অবিজেপি সব বিরোধী দলের নেতৃত্বদের আহ্বান জানানো হয়েছে। সূত্রে খবর, মমতার ব্রিগেডে উপস্থিত থাকতে পারেন বিভিন্ন দলের ২০ জন শীর্ষ নেতা। এনারা হলেন দেবেগৌড়া, কুমারস্বামী, অরবিন্দ কেজরীবাল, অখিলেশ যাদব, তেজস্বী যাদব, শারদ পাওয়ার, বদরুদ্দীন আজমল, স্ট্যালিন, অরুন শৌরি, চন্দ্রবাবু নাইডু, অজিত সিং, জয়ন্ত চৌধুরী, ফারুক আবদুল্লা, ওমর আবদুল্লা, শত্রুঘ্ন সিনহা, বাবুলাল মারান্ডি, মল্লিকার্জুন খারগে, জিগনেস মেওয়ানি, হার্দিক প্যাটেল, যশবন্ত সিনহা।


আরও পড়ুন- NRS-এ কুকুর খুনে গ্রেফতার কলেজেরই ২ ছাত্রী


কেমন হচ্ছে মঞ্চ? জানা গিয়েছে মূল মঞ্চ ১২ ফুটের। সেটি আবার তিনটি ভাগে বিভক্ত। এখানেই বসবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জাতীয় স্তরের নেতারা। থাকবেন রাজ্যের বিশিষ্ট নেতারাও। ডান দিকে থাকছে দুটি মঞ্চ। এই দুটি মঞ্চে থাকবেন জেলা সভাপতি, মন্ত্রী ও সাংসদরা।  আর বামদিকে দুটি মঞ্চ বরাদ্দ থাকছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য। 


আরও পড়ুন- বিকল্প পথে গণতন্ত্র বাঁচাও কর্মসূচির ভাবনা বিজেপির, কাল জরুরি বৈঠক


এবারের ব্রিগেডে গোটা রাজ্য থেকে প্রচুর মানুষ আসতে পারেন। আর সেদিকে তাকিয়েই যাতে সবাই শুনতে পান, সেজন্য বসানো হচ্ছে হাজারটি মাইক। ৭০০টি আয়রনের রড দিয়ে তৈরি হচ্ছে কাঠামো। থাকছে ওয়াচটাওয়ার। থাকবে এলইডি টিভি। ভিড় সামলানোর জন্য থাকবেন প্রায় ২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের মতো জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে দূরের কর্মী-সমর্থকদের জন্য।