২৪ ঘণ্টার উদ্যোগ, সংজ্ঞাহীন শিশুকে ভর্তি নিল এনআরএস
২৪ ঘণ্টার উদ্যোগে শিশুকে ভর্তি নিল এনআরএস হাসপাতাল। বছর ছয়েকের সংজ্ঞাহীন শিশুকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে বসে রয়েছেন বাবা-মা। ২৪ ঘণ্টায় দেখানো হয় এখবর। এরপরেই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশুটিকে ভর্তি নেয় হাসপাতাল।
ওয়েব ডেস্ক: ২৪ ঘণ্টার উদ্যোগে শিশুকে ভর্তি নিল এনআরএস হাসপাতাল। বছর ছয়েকের সংজ্ঞাহীন শিশুকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে বসে রয়েছেন বাবা-মা। ২৪ ঘণ্টায় দেখানো হয় এখবর। এরপরেই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশুটিকে ভর্তি নেয় হাসপাতাল।
বাড়ির সামনেই খেলছিল বছর ছয়েকের শিশু রাহুল কারক। হঠাতই ছেঁড়া ইলেকট্রিক তারে শক লাগে। বুকের বাঁ দিকে গভীর ক্ষত, পুড়ে যায় বাঁ হাতের তিনটে আঙুল। ক্যানিংয়ের জীবনতলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে প্রাথমিক চিকিত্সার পরে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয় রাহুলকে।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয় রাহুল কারককে। কিন্তু বেড নেই। সেখান থেকে রেফার করা হয় এন আর এসে। রাহুলকে নিয়ে এনআরএসে পৌছয় পরিবার। ৫টা নাগাদ সুপারের ঘরে যায় তারা। ভর্তি না নিয়েই ফিরিয়ে দেওয়া হয় শিশুকে। মাঝে মাঝেই তখন জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে রাহুল। প্রচন্ড যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। বড় বড় ফোস্কা ফেটে জল গড়াচ্ছে। ভর্তি তো দূর অস্ত, ন্যুনতম চিকিত্সাও করা হয়নি তার। এরপরেই ২৪ ঘণ্টায় যোগাযোগ করে রাহুলের পরিবার। এনআরএসে পৌছন আমাদের প্রতিনিধি। সুপারের ঘরের সামনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা....কিন্তু দেখাই করেননি সুপার।
আবারও অপেক্ষা দীর্ঘ সময়ের, ফোনে আমাদের প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় সুপারের। এনআরএস ভর্তি নেয় শিশুকে। তবে ভর্তি নিতে কেন এত দেরি, তার কোনও কারণ অবশ্য জানাননি সুপার।