বুকে আটকে পেরেক, তিন-তিনটে হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে চিকিত্সা শিশুর
হাতের কাছে পেরেক পেয়েই মুখে পুড়ে দেয় ছোট্ট শিশু। প্রথমে তার বাবা তাকে নিয়ে যায় বালুরঘাট হাসপাতালে। সেখানে এক্স রে করে দেখা যায় শিশুর বুকে পেরেক আটকে রয়েছে। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় মালদহ মেডিক্যালে। সেখান থেকে রেফার করা হয় এসএসকেএমে।
নিজস্ব প্রতিনিধি: বুকে পেরেক আটকে রয়েছে। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে বছর খানেকের শিশু। রক্তাক্ত অবস্থাতেই তাকে কোলে হাসপাতাল থেকে হাসপাতালে ঘুরলেন বাবা-মা। কিন্তু তিন-তিনটে হাসপাতালেও ঘুরলেও ভর্তি নিল না কেউ। সুদূর বালুরঘাট থেকে জেলার দুটি বড় হাসপাতাল হয়ে কলকাতার এসএসকেএম। সেখানেও চিকিত্সায় দেরির অভিযোগ। প্রায় চব্বিশ ঘণ্টা পর শুরু হল শিশুর চিকিত্সা। তাও চব্বিশ ঘণ্টায় খবর সম্প্রচারের পর।
আরও পড়ুন: সুস্থ মানুষকে মৃত্যুর নোটিস, 'এইচআইভি পজিটিভ' রিপোর্ট ধরাল হাসপাতাল
শনিবার নিজের মনে খেলছিল এক বছরের শিশুটির। হাতের কাছে পেরেক পেয়েই মুখে পুড়ে দেয় ছোট্ট শিশু। প্রথমে তার বাবা তাকে নিয়ে যায় বালুরঘাট হাসপাতালে। সেখানে এক্স রে করে দেখা যায় শিশুর বুকে পেরেক আটকে রয়েছে। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় মালদহ মেডিক্যালে। সেখান থেকে রেফার করা হয় এসএসকেএমে। ওই শিশুর বাবার অভিযোগ, এ হাসপাতাল থেকে সে হাসপাতালে গেলেও মেলেনি ন্যূনতম চিকিত্সা এসএসকেএমেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ওই শিশুকে বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: দমদম এয়ারপোর্টে পার্কিং হুজ্জুতির শিকার কৌশিক সেন ও পরিবার
এই খবরই সম্প্রচার করা হয় ২৪ ঘণ্টায়। এরপরই নড়ে চড়ে বসে হাসপাতাল। শিশুকে ভর্তি নেওয়া হয় হাসপাতালে। শুরু হয় চিকিত্সা। শিশুটির শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল। কিন্তু এই ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নের মুখে চিকিত্সা ব্যবস্থা।