নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় এক বছর ধরে লকডাউন-টিকাকরণ, কাজে এল না কিছুই! ভোটবঙ্গে আছড়ে পড়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ। করোনা কার্যত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৩৪ জনের। আর আক্রান্ত? রাজ্যে সংখ্যাটা আট হাজার ছুঁইছুঁই, আর কলকাতায় ২ হাজার! পরিস্থিতি মোকাবিলায় অসুস্থতাজনিত কারণ ছাড়া কর্মীদের ছুটি বাতিল-সহ ফের একগুচ্ছ পদক্ষেপ ঘোষণা করল স্বাস্থ্য় দফতর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এখনও তিন দফায় ভোট বাকি। করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ২ জনও প্রার্থী। সংক্রমণের কবলে পড়েছেন আরও ২ জন। কিন্তু রাজ্যে যে পর্যাপ্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই! তিন দফায় ভোট একসঙ্গে করার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে কমিশন। তবে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সন্ধে ৭টা থেকে সকাল ১০ পর্যন্ত কোনও প্রচার কর্মসূচি রাখা যাবে না। এমনকী, ৪৮ ঘণ্টার পরিবর্তে ভোটগ্রহণের ৭২ ঘণ্টা আগে শেষ করতে হবে প্রচার। কিন্তু তাতেও আদৌ কোনও লাভ হবে? গতবারের থেকে আরও দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস।


আরও পড়ুন: West Bengal Election 2021: অসুস্থ Madan Mitra, কামারহাটির TMC প্রার্থীকে বিশ্রামের পরামর্শ চিকিৎসকদের


বুধবার কোভিডে (Covid-19) আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫ হাজার ৮৯২ জন। তার আগের দিন মঙ্গলবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪,৮১৭।  গতকাল কোভিড পজিটিভ হন ৬,৭৬৯ জন। শুক্রবার ৬  হাজার ৯১০ জনের শরীরে ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সেই সংখ্যাটাই এদিন পৌঁছল ৭ হাজার ৭১৩-র। কলকাতা করোনার শিকার ১ হাজার ৯৯৮ জন। সর্বোপরি সংক্রমিত হয়ে মারা গিয়েছেন ৩৪ জন। 


এদিকে কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যে যখন এই পরিস্থিতি, তখন করোনা মোকাবিলায় এবার আরও কড়া পদক্ষেপ করল স্বাস্থ্য দফতর। নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল, আপাতত অসুস্থতাজনিত কারণ ছাড়া স্বাস্থ্য়কর্মীদের সমস্ত ছুটি বাতিল। প্রয়োজন মতো সবাইকে কোভিড চিকিৎসায় ব্যবহার করা যাবে। তবে করোনা আক্রান্ত হলেই যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যাবে, এমনটা কিন্তু নয়। স্বাস্থ্য দফতরের স্পষ্ট নির্দেশ, কল সেন্টার মারফত বাছাই করে শুধুমাত্র যাঁদের প্রয়োজন, তাঁদেরকেই হাসপাতালে রাখার ব্য়বস্থা করতে হবে।