ওয়েব ডেস্ক: হাওড়া থেকে গ্রেফতার আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের চার পাণ্ডা। আজ হাওড়া-কলকাতা থেকে এদের গ্রেফতার করল ছত্তিসগড়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চে।। ধৃতদের ট্রানজিট রিমান্ডে ছত্তিসগড় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে চক্রের উদ্দেশ্যে জানার চেষ্টা চলছে।   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কখনও পাকিস্তান...কখনও সৌদি আবর...কখনও আফগানিস্তান। একেক সময় একেক দেশ। একেক নম্বর থেকে আসত হুমকি ফোন। দাবি করা হত টাকা। না দিলে প্রাণে মারা হুমকি। কলকাতা-হাওড়ার বুকে বসেই চলছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্র। ধরা পড়ে গেল মঙ্গলবার রাতে। হাওড়া থেকে গ্রেফতার চক্রের মূল পাণ্ডা সমিরুল হক, মহঃ আবিদ, মহঃ আসলাম। কলকাতা থেকে গ্রেফতার চক্রের আরেক পাণ্ডা অজিত সাউ। চারজনকেই গ্রেফতার করল ছত্তিসগড়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। পুরো বিষয়টি সামনে আসে ছত্তিসগড়ের কোতয়ালির বাসিন্দা খুবচন্দ রানের অভিযোগের পর।


খুবচন্দের কাছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নম্বর থেকে হুমকি ফোন আসত। ভয় দেখিয়ে তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় মোট ১০ লক্ষ টাকা জমা দিতে বলা হয়। কিন্ত, খুবচন্দের নম্বর কী করে জোগাড় করল দুষ্কৃতীরা? সামনে আসছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য।


ট্রেনে দুষ্কৃতী চক্রের সঙ্গে আলার খুবচন্দের। বৃদ্ধ মানুষকে দেখে তাঁর সঙ্গে আলাপ জমান চক্রের পাণ্ডা সমীরুল হক। কায়দা করে জেনে নেন খুবচন্দের ফোন নং। তারপরই বিভিন্ন অজানা নম্বর থেকে হুমকি দিয়ে খুবচন্দকে ফোন করা শুরু হয়।


 টাকা দিয়ে কী করত দুষ্কৃতীরা? তদন্তকারীরা বলছেন, আদায় করা টাকা হাওয়ালা মারফত পাকিস্তান-সৌদি আরবের মতো দেশে পাঠানো হত।
ঠিক কী কারণে টাকা সাইফনিং করা হত তা স্পষ্ট নয়। উদ্দেশ্য জানতে ধৃতদের লাগাতার জেরা করছে ছত্তিসগড় ক্রাইম ব্রাঞ্চ। এদিনই চারজনকে রিমান্ডে ছত্তিসগড় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গোয়েন্দাদের দাবি, দেশের অন্যান্য জায়গাতেও চক্রের জাল ছড়িয়ে রয়েছে।