নিজস্ব প্রতিবেদন : সরষের মধ্যেই লুকিয়ে ভূত! রোজভ্যালি দুর্নীতির তদন্তে নয়া মোড়। রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তে এবার নাম উঠে এল এক এসপি পদমর্যাদার অফিসারের। ধৃত সুদীপ্ত রায় চৌধুরীকে জেরা করে ৭ জন তদন্তকারী অফিসারের নাম উঠে আসে। অভিযোগ, এই অফিসাররা প্রত্যেকে তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, সকাল থেকে টানাপোড়েন, প্রায় ২ মাস পর অবশেষে খুলল দাড়িভিট হাইস্কুল


ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত সুদীপ্তের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ডিটেলস ও ফোনের কল লিস্ট খতিয়ে দেখার পর এই সাত অফিসারের সন্ধান মেলে। জেরায় ধৃত সুদীপ্ত রায়চৌধুরী জানান, এই অফিসাররা বিভিন্ন সময়েই তদন্তকারী অফিসারদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছে। এই ৭ জনের মধ্যে দুজন পদস্থ পুলিস কর্তা রয়েছেন।  বাকি একজন এস পি পদ মর্যাদার অফিসার ও ৪ জন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসার রয়েছেন।


আরও পড়ুন, তলায় ঝুলছে গার্ড, তাঁকে নিয়েই ছুটল ট্রেন! দেখুন হাড়হিম করা ভিডিও


প্রসঙ্গত, আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বিপুল সম্পত্তির জন্য গত রবিবার ব্যবসায়ী সুদীপ্ত রায়চৌধুরীকে গ্রেফতার করে ইডি। রোজভ্যালি কর্তা গৌতম কুণ্ডর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন সুদীপ্ত। সংস্থার অনেক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, তাঁর মাধ্যমেই চলত সমস্ত বেআইনি লেনদেন। প্রভাবশালীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে সুদীপ্ত রায়চৌধুরী বাজার থেকে টাকা তুলতেন বলেও অভিযোগ আসে ইডির হাতে। রোজভ্যালি কাণ্ডের তদন্তে নেমে সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর নাম তদন্তকারীদের খাতায় উঠে আসে।


আরও পড়ুন, যে দুর্ঘটনা এড়ানো যেত সহজেই, হেলমেট না থাকায় ডেকে আনল বাইক আরোহীর মর্মান্তিক মৃত্যু


আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন বিপুল সম্পত্তির জন্য এরপরই তাঁকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্ত নেয় ইডি। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ১৩টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। বাজেয়াপ্ত করা হয় সুদীপ্ত রায়চৌধুরীর নামে ২৫ থেকে ২৬টি ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড। সেই সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও কার্ডের লেনদেনের ডিটেইলস দেখেই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ৭ অফিসারের খোঁজ পাওয়া যায়।