Afghanistan: সঙ্ঘমিত্রা দফাদার হয়েছিলেন সোনা খান, তালিবানি শাসন থেকে ফিরতে চাইছেন কলকাতায়

রণয় তিওয়ারি: কাবুলিওয়ালার বাঙালি বউ! আফগানিস্তানে স্বামী ও শ্বশুবাড়ির লোকেদের অত্যাচারে জীবন অতিষ্ট। তালিবান রাজত্বে এখন দুই সন্তানকে নিয়ে কার্যত গৃহবন্দি কলকাতার সঙ্ঘমিত্রা দফাদার। বাপের বাড়িতে ফিরতে চান তিনি। কিন্তু কীভাবে? উৎকণ্ঠায় বৃদ্ধ বাবা-মা। 

দক্ষিণ শহরতলি সখেরবাজারে বাপের বাড়ি সঙ্ঘমিত্রার। বাবা অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ককর্মী। মা গৃহবধূ। আফগানিস্তানে তালিবান অভ্যুত্থানের পর মেয়েকে নিয়ে দুঃশ্চিন্তা আরও বেড়েছে তাঁদের। সর্বক্ষণ চোখে টিভির পর্দায়। পরিবারের লোকের জানালেন, ২০০০ সালে আফগানিস্তানের বাসিন্দা যরোসা খানের সঙ্গে বিয়ে হয় বছর পঞ্চান্নের ওই মহিলার। বিয়ের আসর বসেছিল কলকাতাতেই। বিয়ের পর বছর দুয়েক বাঘাযতীন এলাকায় ফ্ল্যাটে ভাড়া ছিলেন ওই দম্পতি। এই শহরে জন্ম হয় প্রথম সন্তানের।

তারপর? সঙ্ঘমিত্রাকে নিয়ে নিজের দেশে চলে যান যরোসা। বাঙালি মেয়ের নাম রাখা হয় সোনা বাহাদুর খান। ছেলের বয়স ১৯ বছর, আর মেয়ের ৯। জি ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে জানালেন, আফগানিস্তানে যাওয়ার রীতিমতো অত্যাচার করতেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি লোকেরা। পাসপোর্ট পর্যন্ত লুকিয়ে রেখেছিলেন তাঁরা। চার বছর হতে চলল, স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ নেই। দ্বিতীয়বার বিয়ে করে আলাদা থাকেন তিনি। এখন কী অবস্থা? সঙ্ঘমিত্রায় গলার আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। বললেন, বাড়ির সামনে বন্দুক হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে তালিবান। গত চার-পাঁচ দিন ঘরে লাগাতার হামলা চলছে। ছেলে আরবাজকেও নাকি তালিবান দলে টানার চেষ্টা করছে! ভয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে নিজেকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। 

স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অত্যাচারে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে কলকাতায় ফিরতে চেয়েছিলেন সঙ্ঘমিত্র। কিন্তু হাতের টাকা-পয়সা  ছিল না। তারমধ্য়েই দেশটা তালিবানের দখলে চলে গেল! এখন বাপের বাড়ি ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। কিন্তু বাবা-মায়ের সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করতে পারছেন না। প্রশাসন কি সাহায্য করবে? এখন সেটাই দেখার।

(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)