পূজা বসু দত্ত


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

হর হর মোদী, ঘর ঘর মোদী। এই ছিল তাঁর প্রচার নামা। আচ্ছে দিনের বার্তা দিয়ে, তিনি বিপুল ভোটে জয়ীই শুধু হননি, অনেক আশা জাগিয়েছিলেন। সেই আশার আলো মাঝে মাঝে আতসবাজি হয়ে জানান দেয় তাঁর পদক্ষেপে। মাঝে মাঝে তো ফানুসের আকারও নেয় বইকি।


কয়েকদিন আগেই দেশের নিরাপত্তা রক্ষার্থে, প্রতিবেশীকে বার্তা দিতে, করেছেন সার্জিকাল স্ট্রাইক। একেবারে বুক ফুলিয়েই ঘোষণা করেন তিনি। এমনই ভাব, যেন এর আগে এই সার্জিকাল স্ট্রাইক কেমন নয়, জানতেনই না দেশের মানুষ। এমন এক পদক্ষেপে, একেবারে কাঁপায়ে দিয়ে, আচ্ছে দিনের কথা আম জনতাকে মনে করালেন মোদী। যেভাবে বছরের পর বছর, মনে করিয়েছে বলিউডি ফিল্ম।(দুধ মাঙ্গে ক্ষীর দেঙ্গে, কাশ্মীর মাঙ্গে চির দেঙ্গে-খুব কমন বলিউড ডায়েলগ)


এমনই এক স্ট্রাইক আবার এল গতকাল রাত ৮-এ। হঠাত্‍ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ, পাঁচশ এবং হাজার টাকার নোট বাতিল রাতের পরই। মাথায় হাত দেশবাসীর। হাতে থাকা টাকাগুলো তাহলে হবে কি! পথ একটা দেখিয়েছেন মোদীজি। কিন্তু সেটা যে দুর্গম, রাতে এটিমগুলোর সমনে লম্বা লাইটাই সেটা বুঝিয়েছে। তারপর আবার পর পর ব্যাঙ্ক বন্ধ। সাধারণের চূড়ান্ত বিভ্রান্তিতে, মোদীজি দারুণ খুশ। কারণ, তাঁর চালটা নাকি মোক্ষম। ঠিকই তো এই চালেই বাজিমাত করেছেন তিনি। আচ্ছে দিনের ব্যাপারে বলতে পারব না, কিন্তু ঘর ঘর তো হর হর মোদী হচ্ছেই। ভাল ভাবে হোক বা নিন্দে করে। হুজুগটা তো তৈরি হচ্ছে।


হুজুগই সব। বলছেন আরো এক রাষ্ট্রনেতা। মিস্টার ডোনাল্ড। ট্রাম্প কার্ডটা যেভাবে খেললেন তিনি। তাঁর স্ট্রোকে কুপোকাত্‍ হিলারি ক্লিন্টন। হু হু করে ভোট পড়েছে ডোনাল্ডের সমর্থনে। যা এক কথায় অভাবনীয়। রাজনীতিকই বুঝতে পারেননি, রাজনীতির চাল। তাহলে ভাবুন, মানুষের হুজুগে কী না হয়! একবার শুধু বুদ্ধি করে দান চালতে পারলেই হল। তারপর জয় আপনারই। নরেন্দ্র মোদী হোক বা ডোনাল্ড ট্রাম্প।