Kolkata Hospital: অগ্ন্যাশয়ে পচন, পুঁজ রক্ত ঝরছে পেটে! শহরের বেসরকারি হাসপাতালে `নবজন্ম` যুবকের
হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা বছর তিরিশের রাতুল সোম। এক নামজাদা রিয়েল এটেস্ট কোম্পানি বেশ উঁচুপদেই কর্মরত তিনি। আমকাই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়....
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: বাঁচার আশা কার্যত ছিল না বললেই চলে! কেন? অগ্ন্যাশয়ে পচন থেকে পুঁজ রক্তক্ষরণ হচ্ছিল পেটে, সঙ্গে বিকল শরীরের একাধিক অঙ্গ। সেই রোগীকেই সুস্থ করে বাড়ি পাঠালেন শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা বছর তিরিশের রাতুল সোম। এক নামজাদা রিয়েল এটেস্ট কোম্পানি বেশ উঁচুপদেই কর্মরত তিনি। ২৫ এপ্রিল আচমকাই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় রাতুলের।
কেন? হাওড়ারই এক চিকিৎসককে পরিবারকে জানিয়েছিলেন, প্যানক্রিয়াটাইটিসে আক্রান্ত হয়েছেন রাতুল। এরপর দ্রুত ওই যুবককে ভর্তি করা হয় হাওড়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে। কিন্তু হাসপাতালে রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় আরও। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, বাড়ির লোককে জবাব দিয়ে দেন চিকিৎসকরা।
পরিবারের লোকেরা অবশ্য হাল ছাড়েননি। ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাতুলকে। এরপর টানা ১৫ দিন ভেন্টিলেশনে থেকেও যখন বিকল হয়ে যাচ্ছিল একের পর এক অঙ্গ, তখন রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা নেমে গিয়েছিল ১ শতাংশে! তারপর? শেষ চেষ্টা হিসেবেই পেটে অস্ত্রোপচার করে পচন ধরা টিস্যু ও পুঁজ রক্ত বের করে সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসক শুদ্ধসত্ত সেন ও তাঁর টিমের সদস্য়রা।
আরও পড়ুন: Medical Negligence: লাইসেন্স নেই তবুও সার্জারি! নামী চিকিৎসাকেন্দ্রের বেনিয়মে পা হারালেন প্রৌঢ়
এদিকে পেটে ভিতরে ততদিনে জড়িয়ে গিয়েছে বিভিন্ন অঙ্গ! ফলে ছুরি-কাঁচি চালা তো দূর, আঙুল গলানোর মতোও জায়গা ছিল না। শেষপর্যন্ত পিঠের দিক থেকে অস্ত্রোপচার করে পেটের সমস্ত পচন ধরা টিস্যু ও পুঁজ রক্ত বের করেন চিকিৎসকরা। তারপরেও দীর্ঘদিন ভেন্টিলেশন, হাই ফ্লো অক্সিজেন থাকতে হয় রাতুলকে। অবশেষে আজ, সোমবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন তিনি।