নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে নালিশ জানাল সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী! কাজও হল। দ্রুত মিটল খুদের সমস্যা। হাঁফ ছেড়ে বাঁচল তার পরিবার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গ্রিভান্স রিড্রেসাল সেলে একটি চিঠি লিখে ফেলল সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী। চিঠি লেখার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছ থেকে প্রতিকারও পেল খুদের পরিবার। এর জেরে ওই ছাত্রীর বাবার সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে 'নিজের বাড়ি' তৈরির যে-স্বপ্ন ভঙ্গ হতে চলেছিল, তার যন্ত্রণা থেকে অব্যাহতি পেল পুরো পরিবার। ছাত্রীর অভিযোগের বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়ায় এন্টালির বাসিন্দা ওই ছাত্রীর পরিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন।


ঠিক কী ঘটেছিল?


রফিকুল ইসলামের এই সমস্যা বিষয়ে রাজ্য সচিবালয়ের এক আধিকারিক জানান, ২০২০ সালে ৬৫০ বর্গফুটের দু'কামরার একটি ফ্ল্যাটের জন্য সংশ্লিষ্ট রিয়েল এস্টেট ডেভেলপারকে ১৬ লক্ষ টাকা দেন রফিকুল। নির্মাণকাজের অনেকটা হয়ে গেলেও তাঁদের পজেশন নিতে দেওয়া হয় না। ফলে তাঁদের পরিবারের সমস্যা বাড়তে থাকে। এদিকে ফ্ল্যাটের পজেশন নিতে না দেওয়ার কোনো বৈধ কারণও ওই পরিবারকে দেখানো হয় না। তিনি টাকা ফেরত অথবা ফ্ল্যাটের পজেশন পেতে নানাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হয় না। গত অগাস্ট থেকে রফিকুল এই মানসিক চাপ নিতে না পেরে ক্রমশ ভেঙে পড়েন। তাঁর নিজের বাড়ির স্বপ্ন ধুলোয় মেশে।  


কিন্তু হাল ছাড়ে না রফিকুলের ছোট মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী জাহিন বিলকিস। বাবার হতোদ্যম অবস্থা দেখে বিলকিস গত সেপ্টেম্বরেই মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের গ্রিভান্স সেলে সমস্ত ঘটনা জানিয়ে একটি চিঠি লিখে ফেলে। আর ওই চিঠি পাওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই এন্টালি থানা থেকে ওই পরিবারকে প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস জানিয়ে ফোন করা হয়। শুধু তাই নয়, তার পর কয়েকদিনের মধ্যে তাঁদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধানও হয়। স্বস্তি পায় পরিবারটি।


প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই সেল রেকর্ড সময়ে সারা রাজ্যের ১১ লক্ষের বেশি অভিযোগের ৯৭ শতাংশের নিষ্পত্তি করেছে।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Mamata at Park Street: 'ওমিক্রন একটু বেশি সংক্রামক, সাবধানে থাকতে হবে' সতর্কবার্তা মমতার