নিজস্ব প্রতিবেদন১৮ ঘণ্টা পর শেষেমেশ উদ্ধার করা গেল বাঁশদ্রোণীর যুবকের নিথর দেহ। সকালে কয়েক ঘণ্টার অভিযানে কুয়ো থেকে দেহ উদ্ধার করে কুয়ো মিস্ত্রিরা। গতকাল দিনভর উচ্চ-প্রযুক্তির মেশিন ব্যবহার করে উদ্ধারকাজে ব্যর্থ হয়েছেন দমকল কর্মীরা। তাঁদের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুক্রবার, দুপুর থেকে চেষ্টা করেও কুয়ো থেকে  উদ্ধার করা যায়নি যুবককে। দুপুরে স্নান করতে গিয়ে উধাও হয়ে যান  বাঁশদ্রোণীর সোনালি পার্কের বাসিন্দা বছর তিরিশে বাপি সরকার।পরে বোঝা যায় যুবক কুয়োয় পড়ে গেছে। শুরু হয় উদ্ধারকাজ।


কুয়োয় ডুবুরি নামে সন্ধে সাড়ে পাঁচটায়। দমকলকর্মীরা ওই যুবককে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন কাজ শুরু করে। দমকল কর্মীরা পাম্প চালিয়ে জল বের করা শুরু করেন কুয়ো থেকে। নামানো হয়  ডুবুরিও। প্রায় পঞ্চাশ ফুট গভীর পাতকুয়ো থেকে  উদ্ধারকাজে হাত লাগায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। সন্ধে সাতটা নাগাদ   কুয়োর মধ্যেই যুবকের হদিশ মেলে। শুরু হয় ডুবুরি নামিয়ে যুবককে উদ্ধারের চেষ্টা। কিন্তু সেখানেও সমস্যা। যুবককে কুয়ো থেকে তুলতে গিয়ে ফের বিপত্তি। দেহ থেকে দড়ি খুলে যায়। ফের কুয়োয় পড়ে যান যুবক।



আরও পড়ুন- মেঘলা আকাশ আর নাগাড়ে বৃষ্টিতেই এবারের বর্ষবরণ, পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের


রাত দশটা পর্যন্ত উদ্ধারকাজ চালানোর পর দমকল জানিয়ে দেয় কাল সকাল থেকে ফের উদ্ধারকাজ শুরু হবে। যদিও দমকলের এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হয়নি পরিবার। রাতেই যুবককে কুয়ো থেকে তোলার দাবি সরব হন যুবকের পরিবার। কাউন্সিলরের সামনেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই যুবকের পরিবার। আজ দেহ উদ্ধার হওয়ার পর বাপির পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রাতেই কুয়ো মিস্ত্রিদের আনা হয়। কিন্তু তাদের কাজে লাগানো হয়নি। আজ মাত্র দু'ঘণ্টার মধ্যে দেহ উদ্ধার করে ফেলে কুয়ো মিস্ত্রিরা। দমকল কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ মৃতের পরিবার।