নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার করোনা সন্দেহে এক ব্য়ক্তিকে ভর্তি করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। আজ বিকেলে আইসোলেশন বিভাগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। জানা গিয়েছে, নবগ্রামের পলাশপুর নারকেলবাড়ির বাসিন্দা জানারুল হক গতকাল রাতে সৌদি আরব থেকে গ্রামে ফিরে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শুরু হয় পরীক্ষা-নিরিক্ষা। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে কিনা দেখার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। চলে কড়া নজরদারি। চারিদিকে কঠিন নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে রাখা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসা চলাকালীন আজ বিকেলে মৃত্যু হয়েছে জানারুলের। তবে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও চিকিৎসকদের হাতে পৌঁছয়নি। কাজেই ঠিক কী কারণে জানারুলের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: মুরগির মাংসে করোনার গুজব! ক্রেতাদের অভিযোগ, আকাশ ছুঁয়েছে খাসির দাম


ইতিমধ্যেই সৌদি থেকে দেশে ফিরেছেন মুর্শিদাবাদের বেশ কয়েকজন । আজ রবিবার সকালেও সৌদি ফেরৎ এক ব্যক্তিতে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে করোনা সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি ভর্তি করা হয়েছে। মিনারুল শেখ নামে ওই ব্যক্তিও মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। সৌদি আরবে সাফাই কর্মীর কাজ করতেন তিনি। ফেরা মাত্রই বিমানবন্দরের থার্মাল স্ক্যানে ধরা পড়ে মিনারুলের জ্বর আছে। এরপরেই তাকে স্বাস্থ্য কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বিমানবন্দর থেকে দ্রুত তাকে বেলেঘাটা আইডিতে আনা হয়। 


করোনার ভয়ে থরহরিকম্প গোটা বিশ্ব। ভারতেও একটু একটু করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার আতঙ্ক। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমেই। ইতিমধ্যেই গোটা দেশে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯। কেরালায় নতুন করে যে ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের ৩ জন ইতালি থেকে ফিরেছেন। এই তিনজনের সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও দুজন। অসমেও বাড়ছে করোনা আতঙ্ক। কারণ এক মার্কিন পর্যটকের শরীরে মিলেছে ভাইরাস। তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন প্রায় ১২৭ জন মানুষ। সেই ব্যক্তি চলে গিয়েছেন ভুটান। আর এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কার মেঘ দেখছে বাংলা-অসম সীমান্তে। কোচবিহারের চিকেন নেক এলাকা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কারণ এখান দিয়েই যাওয়া যায় ভুটান, সিকিম ও অসমে। আপাতত বন্ধ হয়ে গিয়েছে ভুটান ও ভারতের মধ্যে যোগাযোগ।