SSKM: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও ভোগান্তি! হাসপাতালের বাইরে রাতভর পড়ে রইলেন রোগী
হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা মমতাজুল মল্লিক। টোটা দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর, রাতে তাঁকে আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। জি ২৪ ঘণ্টার খবরের জেরে ১২ ঘণ্টার পর ভর্তি নেওয়া হল তাঁকে।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: মুখ্যমন্ত্রী দাওয়াইয়েও সারল না রোগ! এসএসকেএম-র ট্রমা কেয়ারের সামনে রাতভর পড়ে রইলেন রোগী। খবর সম্প্রচারিত হল জি ২৪ ঘণ্টায়। হাসপাতালে আনার ১২ ঘণ্টা পর অবশেষে ভর্তি হলেন রোগী।
ঘটনাটি ঠিক কী? হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা মমতাজুল মল্লিক। ঘড়িতে তখন ৭টা। গতকাল, বৃহস্পতিবার হাওড়ারই চেঙ্গাইলের কাছে টোটা দুর্ঘটনা গুরুতর হন তিনি। নাকের হাড় গুড়িয়ে যায়! মমতাজুলকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় উলুবেড়িয়া হাসপাতালে। এরপর রাতেই এসএসকেএম-এ আনা হয় তাঁকে।
পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, হাসপাতালে আনার রোগীকে ট্রমা কেয়ারে ঢোকানো হয়। এমনকী, চিকিৎসক এসে দেখেও যান, কিন্তু চিকিৎসা পাননি মমতাজুল! রাতভর এসএসকেএম-র ট্রমা কেয়ারের সামনেই পড়ে থাকেন তিনি। টোটো দুর্ঘটনা যাঁর নাক গুড়িয়ে গিয়েছে, তাঁর সিটি স্ক্যান হয় আজ, ভোরে। রিপোর্ট আসে আরও চার ঘণ্টা পর।
তারপর? বেলা এগারো নাগাদ সিনিয়র চিকিৎসকরা পরিবারের লোকেদের জানান, মমতাজুলকে ভর্তি করতে হবে, কিন্তু হাসপাতালে বেড নেই! এদিকে ততক্ষণে খবর সম্প্রচারিত হতে শুরু করেছে জি ২৪ ঘণ্টায়। আর তাতেই নড়েচড়ে বসে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। এদিন বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ শেষপর্যন্ত ভর্তি নেওয়া হয় মুমতাজুলকে।
ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টা। গতকাল, বৃহস্পতিবারই এসএসকেএম একাধিক পরিষেবার উদ্বোধন করতে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'প্রসেসটা পরে হবে, আগে তো রোগী চিকিৎসা পাক! সেজন্যই তো হাসপাতাল। ট্রমা সেন্টারে কিন্তু এটা হওয়া উচিত নয়। ট্রমা কেয়ার হল সংবেদনশীল ও আপদকালীন বিভাগ'। সন্ধেয় সাড়ে ছটা পর্যন্ত এসএসকেএম-এ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাতে সাড়ে দশটা নাগাদ হাসপাতালে আনা হয় মুমতাজুলকে!