নিজস্ব প্রতিবেদন: গল্পের নাম, এক যে ছিল জ্বর! সোহম এবং জুয়েল- দুই ডাক্তারি ছাত্র ও তাঁদের হস্টেল জীবন নিয়ে গল্প। সেখানে হঠাত্ ডেঙ্গি থাবা সব কিছু ওলোটপালোট করে দেয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কীভাবে?


সোহমের ছোটবেলা থেকে সবকিছু জমিয়ে রাখার সখ। পুরনো ভাঙা একটি বালতিও সযত্নে রেখেছিল সে। ওই বালতি দিয়ে গাছে জল দেয়। প্রায়শই সেই বালতিতে জমে থাকত জল। এনিয়ে বোনের সঙ্গে একদিন ভাইবোনের তুমুল বাক-বিতণ্ডা। বোনের দাবি, ওই ভাঙা বালতির জমা জলে ডেঙ্গির মশা ডিম পাড়তে পারে। কিন্তু সেই দাবিকে সেদিন ফুত্কারে উড়িয়ে দেয় ডাক্তারি ছাত্র সোহম। হোস্টেলের ফিরতেই ডেঙ্গু ধরা পড়ে সোহমের। সেদিন সোহমের প্রবল জ্বরে কাছে পেয়েছিল তারই সহপাঠী জুয়েলকে। অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়েছিল সে। রক্ত পরীক্ষা করানো থেকে চিকিত্সা, কোনও কিছুর অবহেলা করেনি জুয়েল। সবসময় মশারি খাটিয়ে শোওয়ার জন্য সোহমকে রীতিমতো বকাবকি করত জুয়েল। কিন্তু সোহমেরই ওই নিয়ম ভাঙার  অভ্যেসে। তার মতে, হলামই না ডাক্তার! এমন ছোট ছোট নিয়ম মানার কি কোনও দরকার আছে? সোহম ভালভাবে জানে, ডেঙ্গি রোগীকে মশা কামড়ালে, সেই মশার থেকে ডেঙ্গি ছড়াতে পারে। ফলে ডেঙ্গি রোগীর আরও বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।


আরও পড়ুন- ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনার দাবি খারিজ স্পিকারের, বিরোধী-বিক্ষোভে উত্তাল বিধানসভা


সেদিন জুয়েলের সেবায় সোহম সুস্থ হয়েছিল বটে, কিন্তু ডেঙ্গি জুয়েলকে ছাড়ল না। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ডেঙ্গি ধরা পড়ল তাঁর। অবস্থা এতটাই সঙ্কটজনক যে সে এখন আইসিউতে মৃত্যু সঙ্গে লড়ছে। জুয়েলের আব্বু-আম্মা তার সেবাযত্ন চালালেও, এই পরিণতির জন্য নিজেকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে সোহমকে। তার জন্যই জুয়েলের ডেঙ্গি হয়েছে বলে দাবি জুয়েলের পরিবারের। যদি সেই দিনগুলিতে মশারি খাটিয়ে শুতাম...


আরও পড়ুন- মশারির ভিতর মশা আঁকার প্রতিযোগিতা!


এই ভাবেই শেষ হয় ৯ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের স্বল্প দৈর্ঘের চলচ্চিত্রটি। ডেঙ্গির বিষয়ে ছোটখাটো জিনিস খেয়াল না করায় একজন ডাক্তারের কী পরণতি হতে পারে তা দেখানো হয়েছে এই সিনেমায়। আম জনতাকে ডেঙ্গি বিষয়ে সচেতন করতে এভাবেই এগিয়ে এলেন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন এবং বর্তমান নবিশ চিকিত্সকরা। ডেঙ্গি থেকে কীভাবে বাঁচা যায় এবং ডেঙ্গি হলে কী কী করণীয় গোটাটাই সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁরা। চিকিত্সকদের এই অভিনব প্রয়াস প্রশংসিত হয়েছে সব মহলেই।