প্রবীর চক্রবর্তী: রাজ্যের বকেয়া টাকা আদায়ে রাজভবনের সামনে ফের ধর্নায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেই ধর্নামঞ্চ থেকেই রাজ্য বিজেপি সভাপতির যন্ত্রণা বাড়ালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মঞ্চ থেকে সুকান্ত মজুমদারের ফোন নম্বর দিয়ে অভিষেকের ঘোষণা, যারা একশো দিনের টাকা পাবেন তারা ওঁকে ফোন করুন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- '১০০ দিনের কাজে ঘোটালা হয়েছে, দেখা করার নামে মিথ্যাচার করছে তৃণমূল', বাংলায় এসে বিস্ফোরক সাধ্বী


কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতিকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীকে পাশে বসিয়ে উনি সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। যে সুকান্ত মজুমদারকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন তাঁর একটা বক্তব্য শোনাব। একথা বলে মাইক্রোফোনের সামনে সুকান্তর একটি বক্তব্য মোবাইলে চালিয়ে দেন অভিষেক। সেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি অনুযায়ী সুকান্তকে বলতে শোনা যায়, 'একটাকা, দুটাকা নয়। ২ হাজার কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। ওঁকে কিছু করতে হবে না। সুকান্ত মজুমদার একটা ফোন করে দেবে। সব টাকা চলে আসবে।'  অন্যদিকে, অভিষেকের দাবি, শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'একশো দিনের টাকা বন্ধ রয়েছে। আবাস যোজনার টাকাও বন্ধ করব।' অভিষেক, এখন ২০ লাখ লোকের টাকা আটকে রয়েছে। আমি তাদের অনুরোধ করব আপনারা সুকান্তু মজুমদারের নম্বরে ফোন করুন। রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে বলব সুকান্তর ২টো নম্বর দিতে। তবে আমার অনুরোধ থাকল বাংলার সংস্কৃতি বজায় রেখে কোনও খারাপ কথা বলবেন না। ভদ্রভাবে বলুন, আপনার এত ক্ষমতা আমরা জানতামই না। আপনি দয়া করে আমাদের টাকা আনিয়ে দিন। সুকান্তবাবুর কথা রেকর্ড করুন এবং তা ফেসবুকে দিন উনি কী বলছেন। স্বাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতিকে বলব, আপনি যদি বৈঠক চান তা রাজভবনে এসে করুন।


একশো দিনের ও আবাস যোজনার টাকা আদায়ের জন্য ধর্নার আজ তৃতীয় দিন। এদিন সেই ধর্না মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, গতকালই বলেছিলাম কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সম্ভভত রাজ্য আসছেন। আজ তাই হল। যে দিল্লি পুলিস আমাদের মহিলাদের ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছিল তার জন্য মন্ত্রী বাংলার এসে সাংবাদিক সম্মেলন করতে হচ্ছে। এটা আমাদের জয় বলেই মনে করি। গতকালই বলেছিলাম, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যদি কলকাতায় আমাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চান তাহলে রাজভবনে বৈঠক হতে পারে। আমাদের কোনও ইগো নেই। আজ সাংবাদিকরা ওঁকে জিজ্ঞাসা করেন তৃণমূল বৈঠক করতে চায় আপনি কি বৈঠক করবেন? উনি বলেছেন, তৃণমূলকে এখানে আসতে হবে। উনি কোথাও যাবেন না। অর্থাত্ তৃণমূল প্রতিনিধিদলকে বিজেপি পার্টি অফিসে যেতে হবে! এই জমিদারি প্রথার বিরুদ্ধেই তো আমাদের লড়াই। একজন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলছেন তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বিজেপির পার্টি অফিসে। আমি যদি বলি সুকান্ত আর শুভেন্দুকে নবান্ন নয় তোপসিয়ায় তৃণমূলের পার্টি অফিসে দেখা করতে হবে? বৈঠকের জন্য আপনি সরকারি জায়গা ঠিক করুন।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)