`কতজন মারা গিয়েছে, কতজনের চাকরি গিয়েছে, জানে না, এই অমানবিক সরকারের শেষ কবে?`
তীব্র আক্রমণে বিঁধলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে চালিয়ে ব্যাট করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। না, পরিস্থিতির কারণে সশরীরে সংসদে উপস্থিত থাকা হয়ে ওঠেনি তাঁর। টুইটারেই তীব্র আক্রমণ করলেন। গতকাল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় চাঁছাছোলা বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে একহাত নেন। আজ আসরে নামেন অভিষেক। তীব্র আক্রমণে বিঁধলেন কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
কড়া ভাষায় অভিষেক কেন্দ্রের মোদী সরকারের উদ্দেশে বলেন, "সরকারের কোনও ধারণা নেই কত মানুষের চাকরি গিয়েছে, কত মানুষের জীবন গিয়েছে ! কবে এই অমানবিক সরকার শেষ হবে?" টুইটে প্রশ্ন তোলেন তিনি। প্রসঙ্গত, গতকাল সংসদে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর পরিসংখ্যান দিতে পারেনি কেন্দ্র। কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, লকডাউনে পথেই কত জন মারা গিয়েছে, তার কোনও হিসেব সরকারের কাছে নেই। তাই হিসেব না থাকায় ক্ষতিপূরণও নেই। এমনকি কোভিড পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের সংখ্যাও কেন্দ্রের কাছে নেই। কেন্দ্রের এই বক্তব্যের পরই জোর সমালোচনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এদিন এই ইস্যুতে মোদী সরকারকে একহাত নিয়েছেন কংগ্রেসের রাহুল গান্ধী, তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রও।
উল্লেখ্য়, আগামী ১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে বাদল অধিবেশন। তবে এবার বাদল অধিবেশনে বাদ প্রশ্নোত্তর পর্ব। কাটছাঁট করা হয়েছে জিরো আওয়ারও। যা নিয়েও বিরোধীদের মধ্যে ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে। পাশাপাশি করোনা আবহে সাংসদদের সুরক্ষা স্বার্থে দুই কক্ষের অধিবেশনের সময়ও ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। লোকসভার সময় বিকেল ৩টে থেকে ৭টা পর্যন্ত। অন্যদিকে রাজ্যসভা চলবে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুন, সিট 'ফাঁকা' পড়ে, নেই বসার জন্য মারামারি! নিউ নর্মাল মেট্রোয় স্বেচ্ছায় দাঁড়িয়ে যাত্রীরা