নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার পেয়েছেন গুরুদায়িত্ব। আর দলের প্রবীণ ও অভিজ্ঞ নেতাদের আশীর্বাদ নিয়েই সেই 'গুরুদায়িত্ব' সামলাতে চান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্য রবিবার সকালে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়র বাড়িতে গেলেন তিনি। বিকেলে যাবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির বাড়িতেও। সন্ধেয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রবিবার দেড় ঘণ্টারও কিছু বেশি সময় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, দলের বর্ষীয়ান নেতার আশীর্বাদ নেন নবনিযুক্ত সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আগামিদিনে দল পরিচালনার রণকৌশল নিয়েও দু’জনের মধ্যে আলাপ আলোচনা হয়। রবিবার বিকেলে ৫টায় তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির বাড়িতেও যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সন্ধে ৮টায় যাবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে। আজকের সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "অভিষেককে আমি ছোটবেলা থেকেই চিনি। আমার সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। নতুন করে আশীর্বাদে দেওয়ার কিছু নেই। ওর সঙ্গে আমাদের আশীর্বাদ আছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর অভিষেক এখন অন্যতম মুখ। সাংগঠনিক বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। ও দলকে শক্তিশালী করছে। "


দলের বর্ষীয়ান নেতাদের কাছে অভিষেকের এই পৌঁছে যাওয়া, রাজনৈতিক ভাবে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পদক্ষেপের দ্বারা তৃণমূলের নবনিযুক্ত সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাফ বার্তা দিতে চাইছেন, আগামিদিনে নবীন ও প্রবীণদের মধ্যে সমন্বয় বজায় রেখেই চলতে চান তিনি।


আরও পড়ুন: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের সরব রাজ্যপাল, সোমবার মুখ্যসচিবকে তলব করলেন Dhankhar


আরও পড়ুন: শুভেন্দু ঘনিষ্ঠ রাখালকে পুলিসি জেরা, অপর অভিযুক্ত চঞ্চলের খোঁজে তদন্তকারীরা


একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই দায়িত্ব পালনে তিনি একশো শতাংশ সফল বলেই তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের মত। আর সেজন্যই শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যুব তৃণমূল সভাপতি থেকে  তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করেছে দল। খাতায়-কলমে এবার প্রকৃত অর্থেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর তৃণমূলের দলীয় সংগঠনের ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।