জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গতকালই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার পরেই দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্যপালের আশ্বাস ছিল তিনি রাজ্যের বকেয়ার দাবি কেন্দ্র সরকারের কাছে পৌঁছে দেবেন। কেন্দ্রের কাছে যে রাজ্যের বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেইল করে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্যের কথা তুলে ধরার জন্য রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ঘরে ঘরে তল্লাশি, গাজা সীমান্তে ১৫০০ হামাস যোদ্ধার মৃতদেহের খোঁজ ইজরায়েলে


রাজ্যপালের মেইল পাওয়ার পর তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে এক্স মাধ্যমে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিষেক। তিনি লিখেছেন, রাজ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরার জন্য রাজ্যপালকে কৃতজ্ঞতা জানাই। বিশেষ করে রাজ্যের ২১ লাখ মানুষের জন্য কাজ করায় ধন্যবাদ।   



কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বার্তা পৌঁছে দেওয়া নিয়ে তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, উনি যে তাঁর পূর্বসুরীর মতো বাংলা বিরোধী নন সেটা প্রমাণ করার এর থেকে ভালো সুয়োগ আর হতে পারে না। আশাকরি উনি এই সুযোগের সদ্বব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। বিশেষভাবে ধন্যবাদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আন্দোলনতে তীব্র করে বর্তমান রাজ্যপালকে বাংলা বিরোধী তকমা ঝেড়ে ফেলার সুযোগ তিনি দিয়েছেন।


এদিকে, আজই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন সি ভি আনন্দ বোস। তবে জানিয়ে রাখা ভালো রাজ্যের দাবিদাওয়া ও বকেয়া সংক্রান্ত কোনও বিষয় নিয়ে অমিত সাহর সঙ্গে আলোচনার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানা যাচ্ছে। তবে সূত্রের খবর অমিত শাহর সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠকের মূল বিষয় হল রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা।  পাশাপাশি রাজ্যপালের অভিযোগ অনুযায়ী রাজভবনে যে চরবৃত্তির অভিযোগ রাজ্যপাল করেছিলেন তা নিয়েও কথা হতে পারে। সম্প্রতি ১৪৪ ধারার মধ্যেও কীভাবে রাজভবনের সামনে ধর্না হতে পারে তা নিয়ে রাজ্যকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যপাল। সেই বিষয়টিও উঠতে পারে আজকের বৈঠকে। উত্তরবঙ্গের বন্য পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হতে পারে। কারণ খোদ রাজ্য সরকারের অভিযোগ ছিল, সিকিমের জন্য যেভাবে টাকা দেওয়া হয়েছে সেই একই পরিস্থিতির জন্য বাংলাকে টাকা দেওয়া হচ্ছে না।
 
উল্লেখ্য, রাজ্যের বকেয়া আদায়ে দিল্লির কৃষিভবনে ধর্না দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ তাঁদের সঙ্গে দেখা করেনিনি কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। বরং ধর্না থেকে তাদের জোর করে তুলে দেওয়া হয়। দিল্লির আন্দোলন থেকে ফিরেই কলকাতায় রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেন তৃণমূল নেতারা। কিন্তু রাজ্যপাল চলে যান উত্তরবঙ্গ। শেষপর্যন্ত ধর্নার ৫ দিনের মাথায় রাজ্যপালের সাক্ষাত পায় তৃণমূল প্রতিনিধি দল। মাত্র ২০ মিনিটের বৈঠকে তাদের রাজ্যপাল আশ্বাস দেন, রাজ্যের দাবিদাওয়া তিনি কেন্দ্রের কাছে পৌঁছে দেবেন।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)