কমলিকা সেনগুপ্ত: 'পঞ্চায়েত ম্যাচের আগেই মুকুল আউট', তাই এবার সামনে থেকে দলের ব্যাটন ধরলেন 'ম্যাচ উইনার' অভিষেক। পঞ্চমীর সকালেই বিসর্জনের বাদ্যি বাজিয়ে একদা দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায় জানান, "তৃণমূলের কার্যনির্বাহী কমিটি থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। পুজোর পরই ছাড়ব তৃণমূলের টিকিটে পাওয়া রাজ্যসভার পদও"। দলের এমন নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যানের উইকেট পড়তেই তাই ব্যাটিং অর্ডারে যেন আরও উপরে উঠে এলেন যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ক্যাপ্টেন কাম কোচ অর্থাৎ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে অ্যাসিড টেস্টে নামবে টিম অভিষেক। সেইমত এবার ক্রিজ বুঝে ব্যাটিং করতে শুরু করলেন 'দিদির ভাইপো'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যেখানে পুজোর চারদিন মুকুল রায় নিজেকে ঘরবন্দি করে রাখলেন, সেখানে ঝড়ো ইনিংসের বার্তা দিয়ে একেবারে রাস্তায় নেমে জনসংযোগে জোর দিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ৭৭ হাজার বুথের নাম, ফোন নম্বর ইতিমধ্যেই ঠোটস্থ করেছেন। এবার বিজয়া সারছেন রাস্তায় নেমে, একেবারে জনতার মাঝে মিশে গিয়ে। 


কালিঘাটের পটুয়া পাড়ায় বাড়ির সামনে প্যান্ডেল খাটিয়ে প্রতিদিনই চলছে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়। বিগত ৭২ ঘণ্টায় অন্তত ৭২০ বার সেলফিতে পোজ দিয়েছেন। কিন্তু একবারের জন্যও মুখে দেখা যায়নি অনীহা। নেই ক্লান্তি। রোজ বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে ৮ টা পর্যন্ত, যেই আসছেন দেখা করেছেন অভিষেক। কচিকাঁচাদের সঙ্গে তো বটেই, যুবাদেরও আবদার মেটাতে সেলফিতে না নেই দলের যুবনেতার। সঙ্গে চলছে চা চক্রও।  


"আমার তো মানুষের সঙ্গে দেখা করতে ভাল লাগে, তাই বসছি। কালী পুজোর পর প্রতি জেলায় প্রতিটা ব্লক নিয়ে বসব", ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন, মুকুল বিয়োগে একটুও নড়েননি তিনি বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতই তিনিও 'রাফ অ্যান্ড টাফ'।