প্রবীর চক্রবর্তী: শুক্রবার ছিল তৃণমূলের ভার্চুয়াল সাংগঠনিক বৈঠক। জানা গিয়েছে সেখানে অভিষেক বন্স্যপাধ্যায় বিভিন্ন বিষয়ে দলের নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সুত্র মারফৎ জানা গিয়েছে যে অভিষেক বলেন, গত দুই বছর ধরে দল একশ দিনের ও আবাসনের কাজের বঞ্চনা নিয়ে বলেছে। দল এই লড়াই সর্বাত্মক করতে চায়। ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে অক্টোবর মাসের দুই তারিখ দিল্লি চলোর ডাক দেওয়া হয়েছিল। বঞ্চিত মানুষদের পাশে তাঁরা যথাসম্ভব দাঁড়িয়েছেন।


তিনি মনে করিয়ে দেন যে দিল্লি যাওয়ার জন্য তাঁদের ট্রেন বাতিল করা হয়। তিনি বলন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অফিস ছেড়ে চলে যায় আমাদের সঙ্গে দেখা না করে। মহিলা সাংসদদের ঘাড়ধাক্কা দেয়। শারীরিক নিগৃহীত করা হয়। সেই সব দিন আমরা সবাই দেখেছি। আমরা পাওনা দেবার কথা বলেছিলাম। আমরা খুশি ও গর্বিত। রেড রোডে ধরনা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বঞ্চিতদের টাকা দেবেন। প্রধানমন্ত্রীকে অবধি জোর করে টাকা না আটকানোর কথা বলেছেন। আমাদের বারবার বলা হলেও। গরীব মানুষের টাকা ছাড়া হয়নি। মানুষের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দিতে চাই। বিজেপি প্রতিহিংসা মূলক রাজনীতি করছে’।


আরও পড়ুন: Subrata Bakshi | Abhishek Bandopadhyay: নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্বে ইতি? অভিষেককে 'আমাদের নেতা' সম্বোধন সুব্রতর!


তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘২৭ লক্ষ মানুষের টাকা বিজেপি আটকে রেখেছে। চার হাজার কোটি টাকা আটকে রেখেছে পারিশ্রমিক বাবদ। দুই বছর ধরে আটকে রেখেছে’।


ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘১ মার্চ থেকে টাকা দেওয়া হবে। আমি নবজোয়ার থেকে ব্যক্তিগত ভাবে উপলব্ধি করেছি। টাকা রাজ্য সরকার দেয় না কেন্দ্রীয় সরকার দেয় তা অনেক মানুষ জানেন না। আইন অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে টাকা ছাড়তে বাধ্য। মমতা বন্দোপাধ্যায় আর মাথা নত করবেন না। আমরা এমন সরকার চাই যেখানে দিল্লির নেতারা বাংলায় এসে বাংলার সাহায্য চাইবেন। মমতা বন্দোপাধ্যায় স্বনির্ভর বাংলার কথা যা বারবার বলছেন’।


আরও পড়ুন: Abhishek Bandyopadhyay: সন্দেশখালির তপ্ত আবহেই জরুরি সাংগঠনিক বৈঠকে অভিষেক, কী বার্তা?


বৈঠকে তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১৮ তারিখ থেকে সব ব্লকে হবে সহায়তা শিবির। সব গ্রাম পঞ্চায়েতে করবেন সহায়তা শিবির। পূর্ণাঙ্গ অঞ্চল কমিটি তথ্য সংগ্রহ করবেন। এই শিবির আগামী ২৫ তারিখ অবধি হবে। সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা আট ঘন্টা এই শিবির চলবে। একটা ফর্ম দেওয়া হবে। সেটা আপনারা পূরণ করবেন। সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেওয়া হবে’।


তিনি মনে করিয়ে দেন যে বিজেপি নেতারা নিজেরাই বলেছিল। আমরা ফোন করলেই টাকা চলে আসবে। আমরাই টাকা আটকে রেখেছি। বাংলা থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে আর বাংলাকে টাকা আটকে রাখছে। আর সুকান্ত মজুমদার বলছেন আমরা ফোন করলেই টাকা ছাড়বে।


তিনি দাবি করেন, ‘আবাসের টাকার জন্য আমরা আর দিল্লিতে হাত পাতব না। আবাসের তালিকা সংশোধনে অনেকের নাম বাদ গেছে। যার মধ্যে বিজেপির একাধিক নেতার নাম ছিল। সহায়তা শিবির সরকার করছে না। সহায়তা শিবির দল করবে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলায় এই শিবির হয়ে গিয়েছে। তাই এই জেলা বাদে গোটা রাজ্যে এই সহায়তা শিবির হবে। ব্যাংকের নথি সহ সমস্ত তথ্য থাকবে। এই ফর্ম আসবে কেন্দ্রীয় ভাবে কলকাতায়। যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া হবে’।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)