মেহতার বাসভবনে শ্রীযুক্ত অধিকারী থাকাকালীন সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করা হোক: Abhishek
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার (Tushar Mehta) অপসারণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দেখা করতে এসেছিলেন। তবে তিনি দেখা করেননি বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারতের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta)। তাঁর সাফাই মানতে নারাজ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর দাবি, তুষার মেহতার বাসভবনে শুভেন্দু অধিকারী থাকাকালীন সিসিটিভি প্রকাশ্যে আনা হোক। আগাম না জানিয়ে কি শুভেন্দু তাঁর বাসভবনে গিয়েছিলেন?
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) চিঠি দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। টুইটারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) লেখেন,'শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে গোপন বৈঠকের জল্পনা খারিজ করেছেন শ্রীযুক্ত মেহতা। অধিকারী মহাশয় থাকাকালীন তাঁর বাড়ির নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ করলেই তা বিশ্বাসযোগ্য হবে। সর্বোপরি সলিসিটর জেনারেলকে আগাম না জানিয়ে কি তাঁর বাড়িতে চলে গেলেন শ্রীযুক্ত অধিকারী?'
অভিষেক (Abhishek Banerjee) আরও লেখেন,'জানতে পেরেছি আধিকারিকদের সঙ্গে সলিসিটর জেনারেলের অফিসে প্রায় ৩০ মিনিট কাটিয়েছেন শ্রীযুক্ত অধিকারী। বৈঠক কি আগে থেকে ঠিক করা ছিল? পুরো ঘটনাই অস্পষ্ট। আশা করি সত্য প্রকাশ্যে আসবে।'
সলিসিটর জেনারেল পদ থেকে তুষার মেহতার অপসারণ চেয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস জানিয়েছে,'সারদা ও নারদ মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। ওই মামলায় সিবিআইয়ের আইনজীবী তুষার। দুই মামলায় অভিযুক্তের সঙ্গে কেন সাক্ষাৎ করেছেন তিনি? গতকাল কুণাল ঘোষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন,'সারদায় ৩ বছর জেলা খাটা কারও মন্তব্যের জবাব দেব না।'
গোটা ঘটনায় শুক্রবার সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা (Tushar Mehta) বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন,'আগে থেকে না জানিয়ে গতকাল দুপুর ৩টে নাগাদ আমার বাসভবনে উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব নির্ধারিত বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় আমার কর্মীরা তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেন। তাঁকে চা পানের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বৈঠক শেষের পর আমার ব্যক্তিগত সচিব তাঁর আসার খবর দেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে পারব না বলে শুভেন্দু অধিকারীকে অনুরোধ করার কথা জানিয়ে দিই ব্যক্তিগত সচিবকে। সে কারণে ক্ষমাও চাই। আমার ব্যক্তিগত সচিবকে ধন্যবাদ জানান শ্রীমান অধিকারী। জোরাজুরি না করে রওনা দেন। ফলে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।'
আরও পড়ুন- কেনা যাবে না গাড়ি, আসবাব, এসি, কোভিডের কারণে সরকারি খরচে রাশ টানল নবান্ন