জোড়াবাগান-কাণ্ডে অভিযুক্তকে আনা হল আদালতে
১৮ তারিখ পর্যন্ত পুলিসি হেফাজতের অনুমতি পাওয়া গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জোড়াবাগান-কাণ্ডে অভিযুক্তকে শনিবার আনা হল কলকাতা নগর দায়রা আদালতে। সেখানে তার ১৮ তারিখ পর্যন্ত পুলিস কাস্টডি পাওয়া যায়। ১৯ তারিখ পর্যন্ত কাস্টডি চাওয়া হয়েছিল। তবে ১৮ তারিখ পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে।
শুক্রবারই জোড়াবাগান-কাণ্ডে জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছিল ওই বাড়ির কেয়ারটেকার অভিযুক্ত রামকুমার। তাকে গ্রেফতারও করেছিল পুলিস। পাশাপাশি পাওয়া গিয়েছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। মৃতের পাকস্থলিতে মিলেছিল বিরিয়ানি এবং চিপস। যোনিতে 'পেনিট্রেশনে'র চিহ্নও মিলেছিল।
আরও পড়ুন: বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু শ্রমিকের, নির্মাণ ভেঙে উদ্ধার হল দেহ
অভিযুক্তকে জেরা করে মিলেছে নানা তথ্য়। বুধবার সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ মাদক দ্রব্য এবং বিরিয়ানির প্যাকেট নিয়ে ৯বি বৈষ্ণব শেঠ ফার্স্ট লেনের বাড়িতে ঢুকেছিল ওই বাড়ির কেয়ারটেকার। পৌনে ৮টা নাগাদ মদ্যপান শুরু করে সে। তার মোবাইলে থাকা ১২টি জুভেনাইল পর্নোগ্রাফি দেখতে দেখতেই মদ্যপানের মাত্রা বাড়ে। সেই সময়ে বাড়ির দোতলার সিঁড়ির কাছে শিশুর কণ্ঠস্বর শুনতে পেয়ে উঠে যায় সে। এরপর ৯ বছরের ওই বালিকাকে খাবারের লোভ দেখিয়ে ঘরে আনে। সেখানেই চিপস-বিরিয়ানি খাওয়ানো হয় তাকে। মনে করা হচ্ছে খাবারের মধ্যেই মাদকদ্রব্য মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এতে শিশুটি অচৈতন্য হয়ে পড়লে তাকে ছাদে নিয়ে যায় কেয়ারটেকার। সেখানেই চলে শিশুটির ওপর যৌন নির্যাতন। নাবালিকার চেতনা কিছুটা ফিরতেই প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা চালায় সে। ভয় পেয়ে তখনই তাকে পাল্টা আঘাত করে কেয়ারটেকার। মুখে ঘুসি মারে, গলা টিপে ধরে। শিশু নেতিয়ে পড়েল মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গলায় ছুরিও চালায়।
আরও পড়ুন: রাজ্যের প্রকল্প নকল করে কেন্দ্র, নাড্ডা সাহেবের হোমওয়ার্ক প্রয়োজন : দোলা সেন