ওয়েব ডেস্ক: জোট হবে কিনা ঠিক হতে এখনও ঢের দেরি। তা বলে কাজ ফেলে রাখছেন না প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। জোটের হোমওয়ার্ক থেকে দিল্লিতে দরবার। সবই চলছে। রাহুল গান্ধী এখনও মাথা নাড়াননি। সোনিয়া গান্ধী শুধু শুনেছেন। AICC নেতাদের মধ্যে কেউ কেউ এখনও কট্টর সিপিএম বিরোধী। কমলনাথদের মতো নেতারা এখনও তৃণমূলের হাত ধরারই পক্ষে। এসব অঙ্ক মাথায় না রেখে বামেদের সঙ্গে জোট গড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কেমন সেই প্রস্তুতি?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সমস্ত জেলার সভাপতির সঙ্গে কথা বলেছেন অধীর চৌধুরী অধীর জানতে চেয়েছেন কোন কোন আসনে কে লড়লে তৃণমূলকে হারানো যাবে? প্রতি জেলার বাম নেতার সঙ্গে কথা বলতে নির্দেশ দিয়েছেন অধীর সহমতের ভিত্তিতে সমঝোতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে AICC। এমাসের মধ্যে এই তালিকা তৈরি করে জেলাগুলিকে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন অধীর। এর সবটাই যে প্রকাশ্যে হচ্ছে এমন নয়। অনেকটাই হচ্ছে কৌশলে।রাজনৈতিক পরিভাষায় যাকে বলে আন্ডার টেবল। অর্থাত্‍ রাহুল গান্ধী মাথা নাড়ালেই অথবা সোনিয়া গান্ধী প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সই করলেই যাতে আসন সমঝোতা দ্রুত কাজ সেরে ফেলা যায়, তাই কাজ এগিয়ে রাখছেন অধীর চৌধুরী।


কংগ্রেসের হিসেব-তথ্য বলছে রাজ্যে ছয় শতাংশ ভোট রয়েছে তাদের। তার মধ্যে অন্তত বিয়াল্লিশটা আসতে তাদের ভোট দশ শতাংশের কাছাকাছি। কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা বলছে, বামেদের সঙ্গে হাত মেলালে আসনপ্রাপ্তি পঁয়ষট্টি টপকে যেতে পারে। কবে সিদ্ধান্ত নেবে AICC? শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি গিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য ও আবদুল মান্নান। এদিকে, প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতার অনুগামীরা শুক্রবার বিধানভবনের সামনে জোট বিরোধী পোস্টার সেঁটে যান। তাঁদের ছ বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এইসব খুচখাচ সমস্যায় জড়িয়ে লক্ষ্য থেকে সরতে চান না জোটপন্থীরা।