সুভাষস্মরণ মঞ্চে সিপিএম-কংগ্রেসকে ভুল স্বীকার করে গাঁটছড়ার বার্তা অধীরের
উপলক্ষ, সুভাষ চক্রবর্তীর স্মরণসভা। আর সেই স্মরণসভা মিলিয়ে দিল কংগ্রেস ও বাম নেতাদের। আলোচনাসভায় বক্তা হিসেবে একদিকে যেমন ছিলেন মহম্মদ সেলিম, অন্যদিকে উপস্থিত ছিলেন অধীর চৌধুরীও। স্মরণসভায় ফের জোটের বার্তা সেলিম-অধীরের মুখে। বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন দুই নেতাই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: উপলক্ষ, সুভাষ চক্রবর্তীর স্মরণসভা। আর সেই স্মরণসভা মিলিয়ে দিল কংগ্রেস ও বাম নেতাদের। আলোচনাসভায় বক্তা হিসেবে একদিকে যেমন ছিলেন মহম্মদ সেলিম, অন্যদিকে উপস্থিত ছিলেন অধীর চৌধুরীও। স্মরণসভায় ফের জোটের বার্তা সেলিম-অধীরের মুখে। বিজেপি-তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন দুই নেতাই।
সিপিএম নেতা সুভাষ চক্রবর্তীর দশম প্রয়াণ দিবসে স্মরণ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান হল বারাকপুরের সুকান্ত সদনে। আর সেই সভায় উপস্থিত কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। বার্তা দিলেন, কংগ্রেস সিপিএমের জোটের প্রয়োজনীয়তার কথা, ভুল স্বীকার করে নতুন করে এগিয়ে যাওয়ার কথা। অধীর বলেন,'মানুষের ভাবনার কাছে আমরা হেরে যাচ্ছি। মোদি কিছু না করেই বীরপুরুষ। মানুষ বিশ্বাস করতে চাইছে না। মানুষ ভেবেছে কংগ্রেস চোর। কিন্তু একজন চোর পেয়েছে ? পলিটিকাল ন্যারেটিভ আমরা করতে পারছি না। ওরা আকশন করলে আমরা রিকাশসান করি। সিপিএমের সঙ্গে বহু ঝামেলা হয়েছে। কিন্তু এক হয়েছি এটা আমাদের পলিটিকাল বাধ্যবাধকতা। বিধানসভাতেও একজোট হতে চেয়েছি। বিধানবাবুর আমলে জরুরি অবস্থা ভুল ছিল, তেমনি বাম আমলে সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম ভুল ছিল। ভুল হলে স্বীকার করতে অসুবিধা কোথায়? ভুল হয়েছিল বলেই তড়িত, সেলিমদার মতো নেতারা হেরে গিয়েছেন।'
আলোচনা সভায় বক্তা হিসেবে ছিলেন মহম্মদ সেলিম। অধিরের বক্তব্যকে স্বাগত জানালেন তিনি। সেলিমের কথায়,'আমাদের এখানে আসলে পুতুলকে রেখে আরএসএস তার প্র্যাকটিস করেছে। মমতা বন্দোপাধ্যায় আসলে আরএসএসের পুতুল। মানুষের দাবিকে মর্যাদা দিতে হবে। কিন্তু এর মাঝে অনেক খেলা হয়ে গেছে।' যৌথ আন্দোলনের পক্ষে সওয়ালের কথা শোনা গেল কংগ্রেস সিপিএম দুই দলের নেতাদের মুখেই।
আরও পড়ুন- যোগীর রাজ্যে চলন্ত ট্রেন দুর্গাপুরের বাসিন্দা মা-মেয়েকে ফেলে খুন করল ছিনতাইকারীরা