Adhir Chowdhury: মুখ্যমন্ত্রী কি ধর্ষণকারীদের উকিল হয়েছেন! হাঁসখালি নিয়ে মমতার মন্তব্যের পাল্টা অধীরের
অধীর চৌধুরী বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তো একজন মহিলা। আপনি অপরাধ না দেখে এটা কী দেখছেন?
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করে সরব হলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাঁর দাবি, বাংলায় ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলেছে। সবটা প্রকাশ হচ্ছে না। ঘটনার প্রতিবাদ না করে মুখ্যমন্ত্রী এসব কী বলছেন?
উল্লেখ্য, আজ বিশ্ববাংলা মেলা প্রাঙ্গনের উদ্বোধন করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধায় হাঁসখালির ঘটনা টেনে আনেন। বলেন, "ধর্ষণ নাকি অন্তঃসত্ত্বা, তড়িঘড়ি দেহ দাহ করলে প্রমাণ মিলবে কোথা থেকে? প্রেমের সম্পর্ক আটকানো যায় না। পুলিসকে এনকোয়ারি করতে বলেছি।"
উল্লেখ্য, হাঁসখালির পর নামখানতেও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি নামখানাতে নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মেরে ফেলার মতো চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে অধীর বলেন, এই জিনিস গোটা পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জায়গায় ঘটছে। কোথায় জানা যাচ্ছে। কোথায় জানা যাচ্ছে না। হাঁসখালিতে যে দুষ্কর্ম হয়েছে তা বাংলার শুধু নয়, গোটা দেশের জন্য হৃদয়বিদারক। রাজ্যে মহিলাদের উপরে অত্যাচার বাড়ছে। এটা দুশ্চিন্তার। থানাতে গিয়ে পুলিসকে জানাতেও মানুষ ভয় পায়। রাজ্যে এই অবস্থার জন্য দায়ী শাসকদল।
এখানেই থেমে থাকেননি অধীর চৌধুরী। বলেন, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তো একজন মহিলা। আপনি অপরাধ না দেখে এটা কী দেখছেন? একটা ১৪ বছরের মেয়ে! আপনি প্রতিবাদ না করে এসব কী বলছেন! বগুটুই এখন মডেল। বগুটুই এখন সন্ত্রাসের ব্র্যান্ড। আমি কাল হাঁসখালি যাব। আপনার নাম মমতা। কিন্তু আপনি মমতা হারিয়ে ফেলেছেন! উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের ঘটনা আর এই বাংলার হাঁসখালির ঘটনা, কতদিন এসব চলবে? কেন ধর্ষণকারীদের হয়ে ওকালতি করছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী কি ধর্ষণকারীদের উকিল হয়েছেন?
এসএসসি দুর্নীতির অভিযোগ হাইকোর্টে মামলা চলছে। এনিয়েও সরব হন অধীর। প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান বলেন, বাংলায় চাকরি হয় কখন? আগে তাকে খুন হতে হবে, নয়তো তার বাড়িতে আগুন লাগতে হবে। তারপর দিদি যাবে চাকরির নিয়োগপত্র ও টাকা নিয়ে। তার আগে এখানে চাকরি হয় না। এর বাইরে চাকরি পেতে গেলে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। দালালির নিরীখে এখানে বিচার করা হয়। যোগ্যতা বড় কথা নয়। রাজ্যের একের পর এক মামলায় যেভাবে হাইকোর্ট তদন্তের আদেশ দিচ্ছে তাতে প্রমাণ হয় রাজ্যের প্রশাসনের উপরে বাংলার মানুষের আস্থা নেই। পশ্চিমবঙ্গ এক অরাজকতা ও নৈরাজ্যের পথে চলেছে। বিচারপতিরাও প্রশাসনের উপরে নির্ভর করে না। প্রশাসন আর সরকারের মধ্যে যে বিভাজন তা এখন ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে।