জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছাত্রদের নবান্ন অভিযানকে ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হল কলকাতায়। সাঁতরাগাছি, হেস্টিংস, হাওড়ায় পুলিসের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। পাল্টা জলগামান দেগে, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে তার প্রতিহত করে পুলিস। কোথাও পুলিসকে মাটিতে ফেলে, কোথায় তাড়া করে মারা হয়েছে। এরকম এক পরিস্থিতির পরও বিজেপির দাবি ছাত্রদের উপরে হামলা হয়েছে। তারই প্রতিবাদে আগামিকাল বনধ ডেকেছে বিজেপি। এই বনধ বেআইনি ও একে প্রতিহত করা হবে বলে জানাল পুলিস। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের তরফেও জানিয়ে দেওয়া হল বনধ মানা হবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ন-সম্পূর্ণ বেআইনি কর্মসূচি, অনুমতিই নেওয়া হয়নি, নবান্ন অভিযান নিয়ে সাফ দাবি পুলিসের


মঙ্গলবার সন্ধেয় এক সাংবাদিক সম্মেলনে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতীম সরকার বলেন, আমাদের কাছে খবর ছিল সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে কিছু দুষ্কৃতী একটা গোলমাল, অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করবে। তাদের লক্ষ্য ছিল পুলিসকে বলপ্রয়োগ করতে বাধ্য করা। কোনও অবাঞ্চিত ঘটনা যাতে ঘটে যায় তার প্ররোচনা থাকবে। সেই আশঙ্কা অনেকটাই সত্যি হয়েছে।  গতকাল রাতে ৪ জনকে হাওড়ায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা লাশ ফেলে দেওয়ার কথা বলছিলেন। অস্ত্র, বোমা, গুলি নিয়ে এরা অশান্তি পাকানোর চেষ্টায় ছিল। এ সম্পর্কে অকাট্য প্রমাণ আমাদের হাতে রয়েছে। সময় মতো তা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। এদের মধ্যে কথা হচ্ছিলস লাশ ফেলতে হবে। ৩-৪টে লাশ না ফেললে আর আন্দোলোন কিসের।


নাবান্ন অভিযানের জেরে কলকাতা পুলিসে ১২৬ জনেক গ্রেফতার করেছে। পাশপাশি রাজ্য পুলিস গ্রেফতার করেছে ৯৪ জনকে। সুপ্রতিম সরকার বলেন, নবান্ন অভিযানকে ঘিরে পর্যাপ্ত পুলিসি ব্যবস্থা ছিল। নবান্ন অভিমুখি সব রাস্তায় ব্যারিকেড করা হয়েছিল। আন্দোলন কতটা শান্তিপূর্ণ ছিল তা সবাই টিভিতে দেখেছেন। আন্দোলনকারীরা এলেন উই ওয়ান্ট জাস্টিস প্ল্যাকার্ড নিয়ে। তারপর ব্যারিকেড ধরে তারা ঝাঁকাতে শুরু করলেন। পুলিস সেইসময় লাউড স্পিকারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কথা বলে। তারপর ব্যারিকেড ভাঙা হল। সাঁতরাগাছি দিয়ে শুরু। পুলিসের দিকে লাঠিসোঁটা, বোতল বৃষ্টি। লাগাতার ইট পাথর বৃষ্টি হয়। পুলিসকে মারধর, গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হল। একে তাণ্ডব ছাড়া আর কী বলা যায়।  মঙ্গলবার ছিল কাজের দিন। এদিন অশান্তি করে এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছিল যাতে পুলিস কিছু একটা করে ফলে। পুলিস আক্রান্ত হয়েও চূড়ান্ত ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। আপনারা সবাই সেটা দেখেছেন। আমাদের প্রচুর সহকর্মী আহত হয়েছেন। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন বলেও অশান্তি করা হল। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের নামে এই আন্দোলোন করা হয়েছিল। আন্দোলনের নামে যা হল তাতে মনে হয় না প্রকৃত ছাত্ররা এমন গুন্ডামি করতে পারে।


বিজেপির ডাকা বনধ নিয়ে সুপ্রতিম সরকার বলেন, কাল একটি রাজনৈতিক দলের তরফে বনধ ডাকা হয়েছে। বম্বে হাইকোর্টের একটি নির্দেশে বলা হয়েছে কোনও রাজনৈতিক দলের ডাকা বনধ বেআইনি। ফলে এই বনধ প্রশাসন সমর্থন করে না। প্রশাসন সেই বনধ প্রতিহত করবে। প্রশাসনের তরফে সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে আরও একটি কর্মদিবস নষ্ট না হয়। বাংলাকে সচল রাখার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে। প্রকৃত শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ আজকের আন্দোলনে অংশ নেননি। তাঁদের কাছে অনুরোধ আগামিকাল সব ধরনের ব্যবস্থা থাকবে, গাড়ি ঘোড়া চলবে। বন্ধুর মতো প্রশাসন আপনাদের পাশে থাকবে। কোনও চক্রান্তের ফাঁদে পা দেবেন না।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)