ওয়েব ডেস্ক: মৃত্যুর পরও দুবছরের শিশুর দেহ নিয়ে চিকিত্সক দম্পতির মধ্যে টানাপোড়েন। শিশুর বাবা খুনের অভিযোগ আনলেন তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে। পাটুলি থানায় চিকিত্সক স্ত্রী দেবযানী গোস্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন চিকিত্সক রামচন্দ্র ভদ্র। এরপরই উদ্যোগী হয় পুলিস। সত্কার বন্ধ করে শিশুর দেহ ফেরানো হয় দেবযানীর কাছ থেকে। MR বাঙ্গুর হাসপাতালে আজ ময়নাতদন্ত হবে শিশুর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০১৩ সালে চিকিত্সক দেবযানী গোস্বামীর সঙ্গে বিয়ে হয় চিকিত্সক রামচন্দ্র ভদ্রর। এরপর থেকে দাম্পত্য কলহ লেগেই ছিল। ২০১৪-য় স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন দেবযানী। তখন তিনি অন্তঃসত্বা ছিলেন। তাঁরা আলাদা থাকতে শুরু করেন। ২০১৫-র জুলাইয়ে শিশুকন্যার জন্ম হয়। ২০১৬-য় গলায় খাবার আটকে কোমায় চলে যায় ছোট্ট শিশুটি। এ হাসপাতাল, সে হাসপাতালের পর শিশুকে বাড়িতেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। কন্যা সন্তানকে বেশি খাইয়ে অসুস্থ করে দেওয়ার অভিযোগ করেন রামচন্দ্র ভদ্র। আদালতে মামলাও করেন তিনি। মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেয় আদালত। এরপর থেকে শিশু ছিল দেবযানী গোস্বামীর হেফাজতে।


নারদ কাণ্ডে ইডির ১০ ঘণ্টার জেরার মুখে অপরূপা পোদ্দার


দেবযানী গোস্বামীর দাবি, বুধবার গভীর রাতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে শিশুর মৃত্যু হয়। এরপর তিনি রামচন্দ্র ভদ্রকে SMS করেন। তবে, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আসেননি রামচন্দ্র ভদ্র। রামচন্দ্রবাবুর দাবি, রাতে SMS খেয়াল করেননি তিনি। সকালে খেয়াল করার পরই তিনি হাজির হন গাঙ্গুলিবাগানে দেবযানীর বাড়িতে। বাড়িতে তখন তালা। তিনি জানতে পারেন, দেহ নিয়ে দেবযানী গোস্বামী চলে গিয়েছেন মেমারিতে তাঁর বাপের বাড়িতে। পাটুলি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন রামচন্দ্র ভদ্র। মেমারি থানার পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে পাটুলি থানা। আটকানো হয় শিশুর সত্কার। রাতে দেহ রাখা হয় MR বাঙ্গুর হাসপাতালে। পুলিসের পক্ষ থেকে কাটাপুকুর মর্গে ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের আবেদন জানিয়েছেন শিশুর বাবা।


মদন মিত্রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাসি