Dengue: কলকাতায় ফের প্রাণ কাড়ল ডেঙ্গি, হাসপাতালে ভর্তির কয়েক ঘণ্টাতেই মৃত্যু যুবতীর
বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে যে, আরও একজন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী এই মুহূর্তে হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। তাঁর মধ্যেও `শক সিন্ড্রোম` দেখা দিয়েছে। শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতিতে কাউন্সিলরদের যে গলদ রয়েছে, তা স্বীকার করে নেন অতীন ঘোষ।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য: শহরে ফের ডেঙ্গিতে মৃত্যু। বেলেঘাটা আইডিতে ডেঙ্গি আক্রান্ত যুবতীর মৃত্যু। মৃতার নাম আমিনা খাতুন। বয়স ২৯ বছর। রাজারহাটের বাসিন্দা ছিলেন ওই যুবতী। পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল দুপুরে আমিনা খাতুনকে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। মাত্র কয়েক ঘণ্টা হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পান তিনি। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, তিনি হেমারেজিক ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ছিলেন।
এর পাশাপাশি, বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে যে, আরও একজন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী এই মুহূর্তে হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে রয়েছেন। তাঁর মধ্যেও 'শক সিন্ড্রোম' দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলায় ডেঙ্গি সংক্রমণ নিয়ে তুঙ্গে পৌঁছেছে রাজ্য-কেন্দ্র দ্বৈরথ। শুক্রবার রাজ্যের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী প্রবীণ পাওয়ার। তাঁর অভিযোগ, জাতীয় ভেক্টর কন্ট্রোল প্রোগ্রামের ওয়েবসাইটে গত মে মাসে শেষ তথ্য দিয়েছিল রাজ্য। সেখানে ২৩৯ জন ডেঙ্গি আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। এই সংখ্যাটা বর্তমানে পৌঁছে গিয়েছে ৫২০০০-এর উপরে। কিন্তু বৃহস্পতিবার পর্যন্ত আধিকারিকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে তিনি দেখেছেন যে রাজ্যর তরফ থেকে ডেঙ্গি সংক্রান্ত কোনও তথ্যই আর দেওয়া হয়নি কেন্দ্র সরকারকে।
কেন এরকম ভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে ডেঙ্গি-পরিস্থিতি? এ নিয়ে করা হচ্ছে সমীক্ষাও। তা থেকে বেরিয়ে এসেছে নানা জরুরি তথ্য। নানা ভয়-ধরানো তথ্য। জানা গিয়েছে, রাজ্যে ৪৬ হাজার ৯৬০টি চৌবাচ্চা রয়েছে। যার অধিকাংশই খোলা থাকে! ফলে তা খুব সহজেই ডেঙ্গি মশার আঁতুরঘরে পরিণত হয়েছে। ওদিকে শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে বিস্ফোরক মেয়র পরিষদ অতীন ঘোষ। তিন মাস আগে দলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে ডেঙ্গি মোকাবিলার প্রস্তুতি বৈঠক ডেকেছিলেন ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পরিষদ অতীন ঘোষ। কিন্তু সেই বৈঠকের পরেও বর্তমান শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে সার্বিক সচেতনতার অভাব ছিল। আর সেই কারণেই এই পরিস্থিতি। কাউন্সিলরদের যে গলদ রয়েছে, তা স্বীকার করে নেন অতীন ঘোষ। প্রসঙ্গত, শহরের ডেঙ্গি পরিস্থিতিতে উদ্বেগ বাড়িয়েছে, পরিত্যক্ত জমি। উত্তর কলকাতা থেকে দক্ষিণ কলকাতায় পরিত্যক্ত জমি, পুকুর, নর্দমার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আর তাই এবার পরিত্যক্ত জমি নিয়েই কড়া আইন চাইছে পুরসভা।