নিজস্ব প্রতিবেদন:   ১৫ নভেম্বরের মধ্যে হিন্দু হস্টেলের একটি বিল্ডিংয়ের সংস্কারের কাজ শেষ হবে। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কে জানাল উচ্চশিক্ষা দফতর। সরকারের চিঠির কথা পড়ুয়াদের জানিয়ে তাঁদের অনশন তোলার আবেদন জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। যদিও, অনশন বহাল রেখেই পড়ুয়াদের নতুন দাবি, ১৫ নভেম্বরের আগে আপাতত তাঁদের হিন্দু হস্টেলে বই-খাতা রাখতে দেওয়া হোক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার থেকে হিন্দু হস্টেলের দাবিতে শুরু হয়েছে অনশন। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের ভরসা সরকারের চিঠি। শুক্রবার উচ্চশিক্ষা দফতর প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কে চিঠি দিয়ে জানায়,   ১৫ নভেম্বরের মধ্যে হিন্দু হস্টেলে ১১০ আসনের প্রথম বিল্ডিংয়ে সংস্কারের কাজ শেষ করা সম্ভব। 


আরও পড়ুন: শ্লীলতাহানির অভিযোগ, কেষ্টপুরে স্কুলের মধ্যেইঅশিক্ষক কর্মীকে গণধোলাই


চলতি সপ্তাহের গোড়ায় পূর্ত দফতরের সঙ্গে উচ্চশিক্ষা দফতর যৌথভাবে হিন্দু হস্টেলের কাজ কেমন চলছে তা ঘুরে দেখে। তারপরই আসে চিঠি। শুক্রবার, পূর্ত দফতরের সঙ্গে বৈঠকে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াও ১৫ নভেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা মনে করিয়ে দেন।   উচ্চশিক্ষা দফতরের চিঠি সামনে রেখে পড়ুয়াদের অনশন তোলার আর্জি জানায় কর্তৃপক্ষ।


হিন্দু হস্টেলের দাবি তো আছেই। সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও এক সমস্যা। ১০ সেপ্টেম্বর সমাবর্তনের আগের দিন গেট বন্ধ দেখে প্রেসিডেন্সির দরজা থেকে ফিরে যান উপাচার্য। কারা গেট বন্ধ করল,  তা খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি তৈরি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। ৯ জন অনশনকারী পড়ুয়া-সহ ৩৫ জনকে চিহ্নিত করে তাঁদের তদন্ত কমিটির সামনে হাজিরার জন্য তলব করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: নজিরবিহীন নিরাপত্তায় আজ ফের আদালতে পেশ কর্নকে, তবে এখনও ফেরার ২ দুষ্কৃতী


শুক্রবার বসেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা। তবে, তাঁদের মুখোমুখি হতে নারাজ পড়ুয়ারা। কমিটির কাছে না গিয়ে ঘরের বাইরে অবস্থান-বিক্ষোভে সামিল হন তাঁরা। ছাত্রছাত্রীদের দাবি,  ১৫ নভেম্বর হিন্দু হস্টেলে একটি বিল্ডিংয়ের কাজ শেষ হওয়ার আগে আপাতত সেখানে তাঁদের বই-খাতা-সহ ব্যক্তিগত জিনিসপত্র রাখতে দিতে হবে। উপাচার্যকে আটকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট বন্ধের কারণ খুঁজতে তৈরি তদন্ত কমিটিও বাতিল করতে হবে। 


দাবি আদায়ে পড়ুয়ারা এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ হয়ে পড়ায় ইতিমধ্যেই একাধিক ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।