`গভীর ভাবে শোকার্ত; তাঁর অকাল প্রয়াণে অভিনয় জগতের বড় ক্ষতি` ঐন্দ্রিলার মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রী
Aindrila Sharma Passes Away: লড়াইয়ের অন্যতম নাম ঐন্দ্রিলা শর্মা। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমবেদনা জানিয়েছেন অভিনেতার পরিবারকে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: টেলি-অভিনেতা ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ঐন্দ্রিলার পরিবার পরিজন ও অনুরাগীদের আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন। মৃত্যুর সঙ্গে ঐন্দ্রিলার দীর্ঘ লড়াইকে তিনি কুর্নিশ জানিয়েছেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ (নবান্ন) থেকে প্রকাশিত নাতিদীর্ঘ ওই শোকবার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন: বিশিষ্ট অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার অকাল-প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ হাওড়ায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। প্রতিশ্রুতিময়ী তরুণী এই অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল মাত্র ২৪ বছর। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য টিভি সিরিয়াল ঝুমুর, মহাপীঠ তারাপীঠ, জীবনজ্যোতি, জীবনকথা, জিয়নকাঠি ইত্যাদি। এছাড়াও তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাঁকে এবছর 'অসাধারণ প্রত্যাবর্তন' বিভাগে টেলি সম্মান অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে। মারণরোগের বিরুদ্ধে অদম্য মনোবল নিয়ে তিনি যেভাবে লড়াই করেছেন তা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। তাঁর ট্রাজিক প্রয়াণ অভিনয় জগতের এক বড় ক্ষতি। আমি ঐন্দ্রিলা শর্মার পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি।
আরও পড়ুন: Aindrila Sharma Passes Away : 'সে চলে গেলেও থেকে যাবে তার স্পর্শ আমার হাতের ছোঁয়ায়…'
টানা ২০ দিন ধরে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। তবে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে আজ, রবিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা। রবিবার সকালে পর পর বেশ কয়েকবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় তাঁর। এবার আর চিকিৎসকদের চেষ্টায় সাড়া দিলেন না 'ফাইটার' ঐন্দ্রিলা। শনিবার সকালেও হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল, ঐন্দ্রিলা এখনও ১০০% ভেন্টিলেশনেই রয়েছেন। ওষুধ দিয়ে তাঁর রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চলছিল। পর পর ২ বার ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে সেই সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। আবার কাজে ফিরেছিলেন। দীপাবলির সন্ধ্যাতেও সেজেগুজে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোকময় ছবি পোস্ট করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। কিন্তু তার ১ সপ্তাহের মাথাতেই ১ নভেম্বর ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন। এদিন ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। তাঁর শরীরের একটা দিক অসাড় হয়ে পড়ে। ঘন ঘন বমি করতে থাকেন। অচেতন হয়ে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে ছোটেন তাঁর পরিবার ও বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরী। সেদিন রাতেই অস্ত্রোপচার হয় ঐন্দ্রিলার। তখন থেকেই ভেন্টিলেশনে ছিলেন। মাঝে একবার তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বার করার প্রক্রিয়া শুরু হলেও, শরীরে সংক্রমণ বাড়লে ফের সি-প্যাপ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। মাঝে বাঁ হাত ও চোখের পাতা একটু নাড়ালেও, জ্ঞান ফেরেনি। একরকম কোমাচ্ছন্নই ছিলেন তিনি।
গত মঙ্গলবার থেকে অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক হতে শুরু করে। মস্তিষ্কের কিছু জায়গায় নতুন করে রক্ত জমাট বাঁধার খবর আসে। অবেশেষে সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চিরতরে চলে গেলেন প্রতিশ্রুতিময়ী এই অভিনেত্রী।