ব্যুরো:সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়ের নাটকীয় ইস্তফার পর অস্থায়ী নির্বাচন কমিশনার হচ্ছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবহণ দফতরের প্রধান সচিব পদেও থাকছেন তিনি।  একই IAS অফিসারের এভাবে দুই পদে নিয়োগ সংবিধানের মূল সুরের পরিপন্থী। এমনটাই মনে করছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদ থেকে ইস্তফা দেন সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়। সুশান্তবাবুর ইস্তফার পর তড়িঘড়ি  অস্থায়ী কমিশনার পদে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। বর্তমানে পরিবহণ দফতরের প্রধান সচিব পদে রয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, আপাতত দুটি দায়িত্বই সামলাবেন তিনি।  কিন্তু এধরনের দুটি পদে একই ব্যক্তির নিয়োগকে সংবিধানের মূল সুরের পরিপন্থী বলেই মনে করছেন সংবিধান বিশেষঞ্জরা।


কেন এমনটা মনে করছেন সংবিধান বিশেষঞ্জরা?


সাধারণত অবসরপ্রাপ্ত  মুখ্যসচিবদেরই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে নিয়োগ করা হয়। যেহেতু কমিশনারের কাছে রিপোর্ট করেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব পদমর্যাদার আইএএস অফিসাররা, তাই এই পদে সিনিয়রিটিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। এমনটাই হয়েছিল প্রাক্তন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের নিয়োগের ক্ষেত্রে।


রাজ্য সরকারের মুখ্য কার্যালয় নবান্নে আসেন না রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। প্রয়োজনে আলোচনার জন্য মুখ্যসচিব বা স্বরাষ্ট্রসচিবকে যেতে হয় কমিশনারের দফতরে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হলে তাঁর কাছে রিপোর্ট করতে যেতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র বা স্বরাষ্ট্রসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত সিনিয়র আইএএস অফিসারকে। কমিশনারের অফিসে গিয়ে আলাপনবাবুর মত জুনিয়র আইএএসকে 'স্যার' বলে সম্বোধন করতে হবে।


আবার সেই আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ই যখন পরিবহণ দফতরের প্রধান সচিব হিসাবে নবান্নে বসবেন, তখন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে 'স্যার' বলে সম্বোধন করতে হবে
আলাপনবাবুকে। এমনকী মন্ত্রীদেরও 'স্যার' বলে সম্বোধন করতে হবে তাঁকে। এভাবে একই আইএএস অফিসারের দুই পদে দুধরনের ভূমিকা,সংবিধানের মূল সুরের পরিপন্থী  বলেই মনে করছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞরা।


এই রকম পরিস্থিতিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে থেকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করতে পারবেন, প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে সে বিষয়েও।