নিজস্ব প্রতিবেদন: খাবার রয়েছে, কিন্তু করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার লোক নেই! অভিযোগ ঘিরে বর্তমানে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ঝাঁ চকচকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিত্রটা ভয়ঙ্কর।
উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছিল অনেকদিন ধরেই।  পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই তাঁদের কার্যত 'অচ্ছুত' করে রাখার অভিযোগ উঠছিল। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল, করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের খাবার দেওয়ার মতো লোক নেই। তাঁদের খাবার বারান্দায় নামিয়ে রাখা হচ্ছিল। রোগীরা সেখান থেকেই খাবার তুলে নিচ্ছিলেন। কিন্তু বুধবার সকালেই ঘটনাটি আরও এক গুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিল।


শিলিগুড়িক প্রশাসক পদে অশোক? 'শ্যাম রাখি না কূল রাখি' ভাবছে আলিমুদ্দিন
উপসর্গ নিয়ে ভদ্রেশ্বরের চাঁপদানি এলাকার বছর তিরিশের এক যুবক সুপার স্পেশালিটি ব্লকের চার তলায় ভর্তি ছিলেন। আচমকাই তাঁর খোঁজ মিলছিল না। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে দেখা যায়, তিনি বারান্দায় ঘোরাফেরা করছিলেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। এরপর গোটা হাসপাতাল তন্নতন্ন করে খোঁজা হয়। দেখা যায়, সিঁড়ির নীচে লুকিয়ে বসে রয়েছেন ওই যুবক। বাড়িতে ফিরতে চেয়ে নাছোড়বান্দা তিনি।
বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ তাঁকে বাড়ি ফেরানোর বন্দোবস্ত করা হয় হাসপাতালের তরফে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়? হাসপাতাল সূত্রে দাবি, ওই রোগী রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে, তাই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন পালাচ্ছিলেন ওই রোগী?
বছর তিরিশের ওই যুবকের মুখে শুধু মিলেছে কয়েকটি শব্দ... "খাবার কই? খুব খিদে পেয়েছিল, খাবারের বড্ড অসুবিধা!"আর কিছুই বললেন না তিনি।