``১২ সপ্তাহের মধ্যেই ফেরানো হবে সিঙ্গুরের কৃষকদের টাকা ও জমি`
মানুষ না চাইলে কোথাও জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। কোথাও শিল্প গড়ার কাজ করা হবে না । বর্ধমানে মিষ্টিহাবের জন্য নির্ধারিত জমি নিয়ে আন্দোলনের মাঝে আজ এমনই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালই সিঙ্গুরে টাটাদের গাড়ি কারখানার জন্য অধিগৃহীত জমি নিয়ে একটি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ওয়েব ডেস্ক : মানুষ না চাইলে কোথাও জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা হবে না। কোথাও শিল্প গড়ার কাজ করা হবে না । বর্ধমানে মিষ্টিহাবের জন্য নির্ধারিত জমি নিয়ে আন্দোলনের মাঝে আজ এমনই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকালই সিঙ্গুরে টাটাদের গাড়ি কারখানার জন্য অধিগৃহীত জমি নিয়ে একটি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন- সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম...আন্দলনের ইতিবৃত্ত
গতকাল সিঙ্গুর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পর আজ মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রশাসনিক বৈঠকে বসেন রাজ্যের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে জমি জরিপের কাজ শেষ করা হবে। আজ থেকে শুরু হচ্ছে জমি ফেরানোর কাজের নোটিফিকেশন। আগামীকাল থেকে সেখানে জমি জরিপের কাজ শুরু হবে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনেই সিঙ্গুরে জমি জরিপের কাজ শুরু করা হচ্ছে। সেই কাজ দু'সপ্তাহের মধ্যে শেষ করে, তারপরই জমি ফেরানোর কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন- সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক সিঙ্গুর রায়ের পর কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, আজ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে জমিদাতাদের জমি ফেরানোর কাজ শেষ করা হবে। এছাড়াও সেখানে যাঁরা টাকা নেননি, তাঁদেরও টাকা ফেরানোর কাজ শেষ করা হবে ওই সময়ের মধ্যে। এখানেই শেষ নয়, বাম সরকারের সময় টাটাদের গাড়ি কারখানার জন্য জমি অধিগ্রহণ করার পর সেখানে থাকা বর্গাদারদেরও আগের অবস্থানেই ফেরানো হবে বলেও আজ ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, "সিঙ্গুর নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি নির্দেশিকাই মেনে চলা হবে।"