ওয়েব ডেস্ক: মেডিকা হাসপাতালের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে রোগীর দেহে স্টেন্টের অস্তিত্বই পাননি বিশেষজ্ঞরা। রোগীর পাঁজরে মিলেছে অস্ত্রোপচারের দাগ। অটোপ্সি সার্জেনের অনুমান, স্টেন্ট না বসিয়ে তড়িঘড়ি বাইপাস সার্জারির চেষ্টা হয়েছিল। রিপোর্টকে চ্যালেঞ্জ  করেছে মেডিকা কর্তৃপক্ষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


হৃদরোগের চিকিত্‍সা করাতে গিয়ে পা বাদ। শেষ পর্যন্ত রোগীর মৃত্যু। গাফিলতির অভিযোগে আগেই উঠেছে। এবার আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। সুনীল পাণ্ডের অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছিল কিনা, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল প্রাথমিক ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। পুলিস সূত্রে দাবি, প্রাথমিক রিপোর্টে সুনীল পাণ্ডের শরীরে স্টেন্টের অস্তিত্বই মেলেনি।



হার্টের ধমনীতে স্টেন্ট বসানো হয়নি। সরাসরি বাইপাস সার্জারির চেষ্টা হয় স্টারনাম বা বুকের হাড় আড়াআড়ি কেটে। থোরাক্স বা পাঁজরের খাঁচা খোলা হয় রোগী আশঙ্কাজনক হওয়ায় শেষপর্যন্ত বাইপাস হয়নি তড়িঘড়ি স্টারনামের চামড়া সেলাই করা হয়।
স্টারনামে সেলাইয়ের দাগ টাটকা, রোগীর হার্ট এনলার্জড থাকায় রক্ত পাম্প করার ক্ষমতা কমে গিয়েছিল, তাই পায়ের জমাট রক্ত তরল হয়নি, এর ফলে সেপ্টিসেমিয়া হয়ে যায়।


ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে হতবাক সুনীল পাণ্ডের পরিবার। হাসপাতালের দাবি ছিল, সুনীলের দেহে স্টেন্ট বসানো হয়েছে। তার বিলও রয়েছে পরিবারের কাছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরে একবার স্টেন্ট বসানো হলে, তা কখনও দেহ থেকে উধাও হতে পারে না। স্টেন্ট না থাকার অর্থ তা আদৌ শরীরে বসানোই হয়নি। তুমুল বিতর্কের মুখে ফের ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছে মেডিকা কর্তৃপক্ষ।



সুনীল পাণ্ডের পায়ে পচন ধরেছিল কিনা তা জানতে সুনীলের কাটা পা পরীক্ষা করতে চান বিশেষজ্ঞরা। যদিও মেডিকা জানিয়ে দিয়েছে, পরিবারের অনুমতি নিয়েই রোগীর কাটা পা সরিয়ে ফেলা হয়। সুনীল পাণ্ডের চিকিত্‍সা সংক্রান্ত সব নথি এবং অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টির সিডি চেয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিত্‍সকরা। পরিবারের তরফে সব নথি থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের কাছ থেকেই এই নথি চাওয়া হবে। (আরও পড়ুন- মেডিক্যাল কলেজে শিশু চুরির অভিযোগ, গায়েব ৫ দিনের সদ্যোজাত)