নিজস্ব প্রতিবেদন: টাকা নিয়ে ল্যাবে লাইন ম্যানেজ। রোগীদের রোষের মুখে এনআরএস-এর দুই কর্মী। টেনেহিঁচড়ে দু'জনকে বের করা হল হাসপাতাল থেকে। চরম অব্যবস্থা ঘিরে দিনভর উত্তাল রইল এনআরএস হাসপাতাল চত্বর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এনআরএস-এর সেন্ট্রাল ল্যাব। রক্ত পরীক্ষা করাতে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে এখানে ছুটে আসেন রোগীরা। ভোর থেকেই লাইন। আর তা নিয়েই অভিযোগ উঠছিল বেশকিছুদিন ধরে। টাকা নিয়ে নাকি পিছনের রোগীকে এগিয়ে দিচ্ছেন ল্যাবেরই কয়েকজন কয়েকজন কর্মী। সোমবার বিষয়টি নজরে আসে কয়েকজন রোগীর। তাঁরাই নিরাপত্তা রক্ষীকে জানান। এরপর নিরাপত্তা রক্ষী ও রোগীরা মিলে চড়াও হয় অভিযুক্ত প্রফুল্লের উপর। তবে অভিযুক্ত কর্মীর পাশেই দাঁড়িয়েছেন এনআরএস-এর স্টোর ম্যানেজার। কিন্তু, স্টোর ম্যানেজার যতই সাফাই দিন। প্রতিদিন রক্ত পরীক্ষা করাতে আসা রোগীরা বলছেন, অনিয়মই সেন্ট্রাল ল্যাবের নিয়ম।


সোমবার ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে রোগীদের। ল্যাব কর্মীদের উপরই চড়াও হন তাঁরা। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে হাসপাতালের কর্মীরা। ছুটে আসে পুলিসও। এই ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাসপাতাল সুপার। ল্যাব কর্মীদের ভূমিকা খতিয়ে দেখতে পৃথক তদন্ত করছে এন্টালি থানার পুলিসও। ইতিমধ্যে হাসপাতালের দুই কর্মীকে আটক করা হয়েছে। আরও পড়ুন- রানি রাসমণিতে সভার অনুমতি পেলেন না অমিত শাহ


এদিকে, নয় দিন ধরে গলায় দশ খানা সূচ বিঁধে থাকায় এনআরএস হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন চোদ্দ বছরের কিশোরী। যন্ত্রনায় কাতর এই কিশোরী এখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। মঙ্গলবার অপারেশন করে সূঁচ বার করার কথা। জানা যাচ্ছে, প্রথমে ক্লাস এইটের অপরূপা বিশ্বাসের মা-বাবা প্রথমে ভেবেছিলেন মেয়ের ঠান্ডা লেগেছে। সেইমত চিকিত্‍সাও হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানা যায় কিশোরীর গলায় বিঁধে রয়েছে অসংখ্য সূচ। কৃষ্ণনগর থেকে কিশোরীকে আনা হয়েছে এনআরএস-এ। মঙ্গলবার হবে অস্ত্রোপচার। তবে কী করে গলায় সূচ বিঁধল, তা নিয়ে পরিবারের কারও কাছে কোনও জবাব নেই। অবাক চিকিত্‍সকরাও। আরও পড়ুন- ছেলের সামনেই মাকে ধাক্কা, শহরে ফের অটো দৌরাত্ম্যের শিকার মহিলা