ওয়েব ডেস্ক: ভোটে ভরাডুবির পরেও একজোট হয়ে লড়তে চাইছেন সূর্যকান্ত মিশ্র, অধীর রঞ্জন চৌধুরীরা। কোন অঙ্কে জোট নিয়ে আশাবাদী তাঁরা? সত্যিই কি একসঙ্গে লড়ে কোনও সুফল পেয়েছেন তাঁরা। দেখে নেব কি বলছে ভোটের হিসাব। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


তৃণমূলকে রুখতে এক হয়েছিল হাত আর কাস্তে। তার পরেও বাংলায় রোখা যায়নি ঘাসফুলের দাপট। যদিও এখনই একে অন্যের হাত ছাড়তে নারাজ সূর্যকান্ত মিশ্র-অধীর রঞ্জন চৌধুরীরা। 


'ভোট মিটলেও থাকছে জোট'


কোন যুক্তিতে এই ভরাঢুবির পরেও জোট বেধেই এগোতে চাইছেন নেতারা? ভোটবাক্সের কোন হিসাব তাঁদের ভরসা দিচ্ছে? দু বছর আগে লোকসভা ভোটের সঙ্গে এবারের পরিসংখ্যান তুলনা করে জোট পন্থীরা বলছেন কিছুটা হলেও হলেও তাঁরা সফল। লোকসভা ভোটের হিসাবে-


৩৯.৭৭ শতাংশ ভোট পেয়ে ২১৪টি বিধানসভা আসনে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। 
২৯.৯৩ শতাংশ ভোট পেয়ে ২৮টি আসনে এগিয়ে ছিল বামেরা।
৯.৬৮ শতাংশ ভোট পেয়ে কংগ্রেসও এগিয়ে ছিল ২৮টি আসনে।
১৭.০২ শতাংশ ভোট পেয়ে ২৬টি আসনে এগিয়ে ছিল পদ্ম শিবির।
অন্যান্যদের দখলে ছিল ৩.৬ শতাংশ ভোট।


অর্থাৎ ২০১৪-য় বাম-কংগ্রেস মিলিয়ে ভোট পেয়েছিল ৩৯.৬১ শতাংশ। মোট ৫৬টি আসনে এগিয়ে ছিলেন তাঁরা।


শতাংশের এই হিসাবই জোট গড়তে উত্সাহ দিয়েছিল দুতরফের নেতাদের। আসন সমঝোতা করে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেও পড়েন তাঁরা। তবে ইভিএমে এই সবঝোতা শেষ পর্যন্ত ততটা ছাপ রাখল কই?


৪৪.৯ শতাংশ ভোট পেয়ে ২১১টি আসনে জিতেছে তৃণমূল।বামেরা পেয়েছে ২৫.৯ শতাংশ ভোট। কংগ্রেসের ভোট বেড়ে হয়েছে ১২.৩ শাতংশ। বিজেপি পেয়েছে মোট ১০.২ শতাংশ ভোট। বাকি ৬.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে অন্যরা। 
প্রাপ্ত আসনের হিসাব ধরলে বামেরা এবার পেয়েছে ৩২টি আসন। কংগ্রেস ৪৪টি। জিতেছেন ইংরেজ বাজারের বাম-কংগ্রেস সমর্থিত নির্দল প্রার্থীও। দেখা যাচ্ছে বাম-কংগ্রেস একসঙ্গে প্রায় ৩৯.২ ভোট পেয়ে ৭৬টি আসনে জিতেছে। 


জোটের শক্তিবৃদ্ধি? 
আর এই আসন বৃদ্ধির হিসাব দেখিয়েই জোটের নেতাদের একাংশ বলছেন জোট সফল। বামেদের আসন কমলেও, জোটের ডিভিডেন্ট পেয়েছে কংগ্রেস। আসনও বাড়িয়েছে তাঁরা। 


সব মিলিয়ে ৫৬ থেকে ৭৭ হওয়াটাকে মোটেই ছোট চোখে দেখছেন না ওই নেতারা। তাঁরা বলছেন একজোট হয়ে থাকলে আরও ভাল ফল হবে সামনের পঞ্চায়েত আর লোকসভা ভোটে।