ওয়েব ডেস্ক: বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে জুড়ে গেল আরও একটা তারিখ। পার্ক সাকার্সে একইমঞ্চে রাহুল গান্ধী-বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তৃণমূলকে হঠাতে দুদল জোট গড়েছিল আগেই। আজ পূর্ণ হল বৃত্ত। একমঞ্চ থেকে লাল-তেরঙ্গার জোট সরকার গঠনের ডাক দিলেন বুদ্ধ-রাহুল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশাল মাঠের এক কোণায় ছোট মঞ্চ। গোটা মঞ্চেই ইন্দিরা-রাজীব-সোনিয়া-রাহুলের ছবি। মঞ্চ মোড়া তেরঙ্গায়। এই  মঞ্চেই ধীর পায়ে হেঁটে উঠলেন  বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। ঘড়ি বলছে পাঁচটা আঠাশ। পাঁচ মিনিটের মধ্যে জিনস পাঞ্জাবিতে মঞ্চে হাজির রাহুল গান্ধী।


একই মালায় বরণ দুজনকে। পূর্ণ হল জোটের বৃত্ত। তারপর  শুধুই ক্যামেরায় ফ্ল্যাশের ঝলকানি। প্রায় দশমিনিট ধরে ক্যামেরাবন্দি দুজনের একান্ত আলাপচারিতা। কখনও বুদ্ধবাবু শ্রোতা, রাহুল বক্তা। কখনও আবার ঠিক তার উল্টো।


কংগ্রেস-বাম হাতে হাত ধরে ভোটে লড়বে কিছুদিন আগেও ছিল অলীক কল্পনা। সেই কল্পনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার কাণ্ডারি দুজন। সোনিয়াকে রাজি করান রাহুল। আর দলকে বুঝিয়েছেন বুদ্ধদেব।


বুদ্ধবাবু যখন বলছেন, অধীর তর্জমা করে দিচ্ছিলেন রাহুল গান্ধীকে।  তাই হয়তো,বুদ্ধবাবু যেখানে ছাড়লেন, এদিন ঠিক সেখান থেকেই ব্যাটন ধরলেন রাহুল। মমতাকে নিশানাকে করে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে গেলেন।


টানলেন সেতু প্রসঙ্গ-সারদা নারদা সবই। তবে, দুজনকে সবচেয়ে বেশি কনফিডেন্ট দেখালো সরকার গড়ার প্রশ্নে। পার্থক্য শুধু ভাষায়। একজন বলেন বাংলা আরেকজন হিন্দিতে। প্রচারে শেষবেলায় একমঞ্চ থেকে রাহুল-বুদ্ধর সরকার গঠনের ডাক শুধু রাজ্য নয় গোটা দেশের রাজনৈতিক মানচিত্রেই গুরুত্বপূর্ণ।