নিজস্ব প্রতিবেদন :‘বিলে জল!’এটা কথার কথা নয়। বাস্তব। চলতি মাসে সিইএসসির বিল দেখে এমন অভিযোগই করছেন গ্রাহকরা। কেন? কারণ গ্রাহকদের স্পষ্ট অভিযোগ, ‘বিলে জল’ মেশানো হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তাঁরা বলছেন, ৪০০ টাকা করে বিল আসে। এই মাসে এসেছে ৪  হাজার। কারও ৫ আবার কারও ৮ হাজার টাকা বিল পাঠিয়েছে। যা দেখে উপভোক্তাদের চোখ কপালে উঠেছে। একজনের বিল এসেছে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা। এই নিয়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন উপভোক্তারা। তারাতলা সিইএসসি’র অফিসের সামনে এদিন এই অভিযোগে গ্রাহকদের লম্বা লাইন দিতে দেখা যায়। লকডাউনে আয় নেই। টাকা কোথায়? এত টাকার বিল দেব কী করে? আর এই বিশাল অঙ্কের বিল হল কী করে? গ্রাহকদের প্রশ্ন, অভিযোগ এখন শুধুই এটা।


কেন এত বিল? 


সিইএসসির সাউথ ওয়েস্ট রিজিয়নের ডিজিএম জয়দীপ গুহ অবশ্য বিলে জল মেশানোর অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। পাল্টা যুক্তি দিয়ে তিনি বলেন, "মার্চ মাস থেকে লকডাউন। যার ফলে মিটারের রিডিং নেওয়া যায়নি। মে মাস পর্যন্ত বিগত ছ’মাসের অ্যাভারেজ মিটার রিডিং দেখে বিল পাঠানো হয়েছে। জুন মাস থেকে মিটার রিডিং নেওয়া হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, অ্যাভারেজ মিটারের থেকে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে। সেটা বাড়তি ব্যবহৃত বিদ্যুৎ এই মাসে যুক্ত করা হয়েছে। লকডাউনে সবাই ঘরে। সবার বিদ্যুৎ ব্যবহার বেড়েছে। তার ওপর গরমের সময়। মানুষের সমস্যা হলে ইনস্টলমেন্টে দিতে পারেন। সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।"



এদিকে বিলের অঙ্ক দেখে খুম ছুটেছে গ্রাহকদের। সিইএসসি-র উপভোক্তা অনির্বাণ বাবুর কথায়, "২২ হাজার বিল এসেছে। প্রতি মাসে যেখানে ৫০০০ করে আসে বিল। গত ৩ মাসও সেরকম ৩, ৪, ৫ হাজার করে বিল এসেছে। এদিন সকালে বিল দেখে চক্ষু চড়কগাছ! কোনওদিন এরকম বিল আসেইনি! এরকম কী করে হল? এই বাজারে এই বিল দেব কী করে?" কার্যত মাথায় হাত তাঁর।


আরও পড়ুন, কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি! দলীয় প্রধানকে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ তৃণমূল কর্মীদে