অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথম বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতাকে দেখতে চেয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। ঠেলায় পড়ে পরেরদিনই ডিগবাজি খেয়ে ঘোষণা করেছিলেন, 'একটু মজা করেছিলাম'। এবারই নয়, এর আগেও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কিন্তু সভাপতির এহেন বেফাঁস মন্তব্যে না-খুশ অমিত শাহ। দিল্লিতে রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অতিরিক্ত কথা বলা থেকে দিলীপ ঘোষকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ। শুধু দিলীপই নয়, জাতীয় সম্পাদক রাহুল সিনহাকেও একই নির্দেশ দিয়েছেন। 


রাহুল, দিলীপ, বাবুলের মতো নেতাদের উপস্থিতিতেও শনিবার দিল্লিতে বিজেপির মহাধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন মুকুল রায়। রাজ্যের বর্তমান অবস্থার কথা তুলে ধরেন একদা তৃণমূলের চাণক্য। তখনই বোঝা গিয়েছিল, রাজ্যে মুকুল রায়কে কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপির! এদিন অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকেও প্রাসঙ্গিক হয়ে থাকলেন মুকুল রায়। দিলীপ, রাহুলকে অমিত শাহের নির্দেশ, 'বাড়তি কথা বলবেন না। মমতাকে নিয়ে আপনাকে কে বলতে বলেছে? দরকারে মুকুল রায়ের সঙ্গে কথা বলে নেবেন'। সভাপতির সামনে ঘাড় নেড়ে সম্মতি দিয়েছেন দুই নেতা। কিন্তু মুকুল রায় যে রাজনৈতিক ডিভিডেন্ট তুলে নিয়ে গেলেন, তা অমিতের বক্তব্যেই স্পষ্ট।                   


আরও পড়ুন- সিল কাটা বোতল বা বিস্কিট প্যাকেট কিনবেন? মহিলাদের সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য যাদবপুরের অধ্যাপকের 


এদিন রাজ্য নেতাদের কেন্দ্রীয় প্রকল্প মানুষের কাছে তুলে ধরার নির্দেশ দিয়েছেন অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা ও নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রচারে নামতে বলেছেন সর্বভারতীয় সভাপতি। রাজ্য বিজেপির প্রস্তাবিত রথযাত্রা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়। তাই রথের অপেক্ষায় না থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে প্রস্তাবিত সভাগুলি করার পরামর্শ দেন সভাপতি।          


প্রসঙ্গত, রবিবার রাজ্যের নির্বাচনী রণকৌশলে নেতাদের সঙ্গে বসবেন অমিত শাহ। তৈরি হবে পথমানচিত্র। মহাধিবেশনের সভাতেই শুক্রবার অমিত শাহ বলেছিলেন, বাংলায় সরকারে আসতে তৈরি বিজেপি। দিল্লি বিজেপি সূত্রে খবর, ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে গেরুয়া শিবিরকে ক্ষমতায় আনতে চাইছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।