ওয়েব ডেস্ক: রাজ্য সফরের শেষ দিনে সাধারণ পরিবারে মধ্যাহ্ন ভোজন। চেনা ছকেই শেষ লগ্নে জনসংযোগের কাজটা সেরে নিলেন অমিত শাহ। ভোটারদের মন জয়ে তিনি চেষ্টার খামতি না রাখলেও, সফরসঙ্গী বিজেপি নেতা শিবপ্রকাশ কিন্তু মেনে নিলেন, বাংলায় লড়াই কঠিন। দলের কাজে দেশের যে প্রান্তেই যান না কেন, সাধারণ পরিবারে পাত পেড়ে খাওয়াটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন অমিত শাহ। বাংলাতেও তার ব্যতিক্রম হল না। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এপ্রিলে রাজ্যে এসে নকশালবাড়ি ও হাজরার দুটি সাধারণ  পরিবারে খেতে যান অমিত শাহ। এ বার গেলেন কাশীপুরে দলীয় সমর্থক মানস সেনের বাড়ি। শহর ছাড়ার আগে অন্য নেতাদের সঙ্গে এই বাড়িতেই দুপুরের খাওয়া সেরে নিলেন বিজেপি সভাপতি। মেনুতে ছিল ভাত, রুটি, মুগের ডাল, শুক্তো, কপির তরকারি, পোস্ত, পাঁচরকম ভাজা, দই, মিষ্টি, চাটনি, স্যালাড। 



স্থানীয় কাউন্সিলর অবশ্য বলছেন, কাশীপুরের সেন পরিবারের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই। অমিত শাহ কেন সেখানে খেতে গেলেন, তার খোঁজ নেবেন তিনি। গোবলয়ে আসন বাড়া কঠিন। ২০১৯-এর দিকে তাকিয়ে তাই নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহর লক্ষ্য পূর্বাঞ্চল। সেই লক্ষ্য পূরণে বাংলা থেকে যত বেশি সম্ভব আসন চাইছেন তাঁরা। অমিত শাহ বঙ্গ বিজেপিকে চাঙ্গা করার চেষ্টা করলেও তাঁর সফরের শেষ দিনে দলীয় নেতা শিবপ্রকাশ কিন্তু মেনে নিলেন বাংলায় লড়াই কঠিন। 


পুজোর পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। লোকসভা ভোটের আগে মিনি বিধানসভা। অমিত শাহের বারবার বাংলায় আসা, পদ্ম শিবিরকে ভোটের বাক্সে কতটা সুফল দেয়, এখন তা নিয়েই কৌতুহল রাজনৈতিক মহলে।