ওয়েব ডেস্ক: দুপুরের সুর বদলে গেল সন্ধ্যায়। মাত্র কয়েকঘণ্টার সফরে নরমে গরমে এ এক অন্য অমিত শাকে দেখল বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। মিশন ২০১৬ টার্গেট করে তৃণমূলকে কড়া আক্রমণের বার্তাই শেষপর্যন্ত রাজ্য বিজেপির কোর কমিটিকে দিয়ে গেলেন তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলবার শরত্‍ সদনে মহাসম্পর্ক অভিযানে ৫টি রাজ্যের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। সর্বভারতীয় সভাপতির দফায় দফায় বক্তব্যে কার্যত হতাশই হয়ে পড়েছিলেন রাজ্যের কর্মীরা। ২০১৪ চৌরঙ্গির জনসভার সেই অমিত শাকে খুঁজছিলেন তারা।


কিন্তু এদিনের বক্তৃতায় সেই অমিত শাকে যেন অচেনা ঠেকছিল তাদের। মঙ্গলবার শরত্সদনের সভায় দু দুবার বক্তব্য রাখেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। কিন্তু তৃণমূল প্রসঙ্গ ভুলেও মুখে আনেননি তিনি! দলীয় কর্মীরা রাজ্য জুড়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুললেও এদিন তিনি স্পিকটি নট। প্রশ্ন ওঠে, শেষ পর্যন্ত কি বিধানসভায় ওয়াক ওভার দিয়েই দিলেন তৃণমূলকে? 


এই জল্পনার মাঝেই সন্ধ্যায় অবস্থা বদলে যায়। বিজেপি রাজ্য কোর কমিটির বৈঠকে অমিত শা বুঝিয়ে দেন, নরমে-গরমে চলতে চান তিনি। বাধ্যবাধকতার জেরে প্রকাশ্য কর্মীসভায় মমতা বা ২০১৬ ভোট নিয়ে কিছু বলেননি বটে। কিন্তু কোর কমিটির বৈঠকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মাটি না ছাড়ার ইঙ্গিতই দেন অমিত শা।


অমিত শা বলেন, 'আমরা কী জিনিস, মমতা টের পাবেন নির্বাচনের আগে। আপনাদের বলছি, সাংগঠনিক পরিকাঠামো তৈরি করুন। ২০১৬-র বিধানসভায় তৃণমূলকে আমরা ভেঙে গুড়িয়ে দেব'।


সংগঠন মজবুত করার বার্তা দিয়ে নেতাদের অমিতের দাওয়াই, 'মহাসম্পর্ক অভিযান, বুথভিত্তিক সভা ভাল করে করুন। বাকিটা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর ছেড়ে দিন'। প্রকাশ্যে না বললেও ২০১৬ ভোটের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অল আউট অ্যাটাকের বার্তাই এদিন রাজ্যের প্রথম সারির নেতাদের দিয়ে গেলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি।