আগামিকাল রাজ্যে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকের পর চৌরঙ্গী কেন্দ্রের প্রার্থীর সমর্থনে সভা করবেন তিনি। আর এখানেই রাজ্যের বিরুদ্ধে সুর কতটা চড়া করেন, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একই সঙ্গে আসন্ন কলকাতা পুরসভা নির্বাচন এবং ২০১৬ বিধানসভা ভোটের দিকে তাকিয়ে দলের উদ্দেশ্যে অমিত শাহ কী বার্তা দেন, তাও অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ। এর আগেও বেশ কয়েকবার কলকাতায় এসেছেন। লোকসভা ভোটের আগে রানি রাসমণি রোডে সভাও করেছেন। কিন্তু, তখন রাজ্যে বিজেপি তেমন কোনও ফ্যাক্টর নয়। অমিত শাহ-ও তখন শুধুমাত্র বিজেপির একজন নেতা। কিন্তু এখন পুরোপুরি  বদলে গিয়েছে ছবিটা। রাজ্যে এখন অন্যতম ফ্যাক্টর বিজেপি। আর অমিত শাহ এখন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। একই সঙ্গে মোদী ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তিনিই আবার আসছেন কলকাতায়।


আগেও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন তিনি। কিন্তু, এবার অমিত শাহের বক্তব্য পেতে চলেছে অন্য মাত্রা। মনে করা হচ্ছে, রাজ্যের প্রতি মোদী সরকারের মনোভাবই স্পষ্ট হবে অমিত শাহের বক্তব্যে। এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি তোলপাড় হচ্ছে সারদা কেলেঙ্কারি নিয়ে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য পুরোটাই রাজনৈতিক চক্রান্ত। এই অবস্থায় অমিত শাহ কী বলেন সেদিকে নজর থাকবে সবারই। উঠে আসতে পারে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গও। একই সঙ্গে  দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দেন সেদিকেও তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক মহল।


এখানেই শেষ নয়। গত কয়েক মাসে অন্য দল থেকে বহু মানুষ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপির সংখ্যালঘু সদস্যও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সেই সংখ্যাটাকে আরও বাড়ানোটাই এই মুহূর্তে অন্যতম লক্ষ্য হতে চলেছে বিজেপির। এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহ দলের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দেন, তা অত্যন্ত তাতপর্যপূর্ণ।
কারণ, সামনের বছরই কলকাতা এবং বিধাননগর পৌরসভার নির্বাচন। আর দুহাজার ষোলোতে রয়েছে বিধানসভা ভোট। বুধবারই বিজেপির আরেক কেন্দ্রীয় নেতা সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেছেন, দুহাজার ষোলোয় তারাই রাজ্যে পালাবদল করবেন।


একই সঙ্গে মোদী সরকারের জনকল্যাণ নীতির কথাও নিজের ভাষণে তুলে ধরতে পারেন অমিত শাহ।