নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে সংগঠনে আরও একটা রদবদল করল বিজেপি। বিজেপির সহ-সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) হিসেবে আনা হল অমিতাভ চক্রবর্তীকে। এর ফলে সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সহযোগী হিসেবে জুড়ে দেওয়া হল দু'জনকে। কিশোর বর্মন আগেই দায়িত্ব পেয়েছিলেন ডেপুটির। তাঁর সঙ্গে এলেন অমিতাভ চক্রবর্তী।                    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০২১ সালের আগে রাজ্য বিজেপির সংগঠন গুছিয়ে নিতে চাইছে দিল্লি।  সাধারণ সম্পাদক, সম্পাদক, সহ-সভাপতি রদবদল হতে পারে বলে খবর। বদল হতে পারে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী ও যুব মোর্চার সভাপতির পদেও। শোনা যাচ্ছে, সঙ্ঘের লোক আসতে পারেন নতুন কমিটিতে। সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীও সঙ্ঘের লোক। এবিভিপি-ও করেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল জল্পনা। অমিতাভ চক্রবর্তীকে এনে তাঁর উপরে চাপ বাড়াল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে অমিতাভ চক্রবর্তীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন আর এক সহ-সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) কিশোর বর্মন।         



অতিসম্প্রতি  উপনির্বাচনে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। ৩টি আসনেই পর্যূদস্ত তারা। এর মধ্যে হারাতে হয়েছে খড়্গপুর ও কালিয়াগঞ্জের মতো নিশ্চিত আসন। ৬ মাস আগে লোকসভা ভোটে বিধানসভাওয়াড়ি ফলে দুটি আসনেই এগিয়েছিল গেরুয়া শিবির। খড়্গপুরে তো ব্যবধান ছিল ৪৫ হাজার। কিন্তু দলের রাজ্য সভাপতি নিজের গড়ই ধরে রাখতে পারেননি। লোকসভা ও বিধানসভা যে এক নয়, তা বুঝে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। স্বাভাবিকভাবেই সাংগঠনিক রদবদলের জল্পনা শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরে। আর এমনিতেই সংগঠনে রদবদল হওয়ারই কথা। লোকসভার জন্য মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। ফলে সব রাজ্যেই হতে চলেছে বদল। কিন্তু বাংলার প্রেক্ষাপট আলাদা? ২০২১ সালে বাংলার মসনদ দখলের স্বপ্ন দেখছেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ। এদিন অভিনন্দনযাত্রার পর বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেছেন,''৪২টি আসনের মধ্যে বিজেপিকে ১৮টি আসন দিয়েছেন মানুষ। এটা ট্রেলার। পিকচার আভি বাকি হ্যায়।'' 


বিজেপি সূত্রের খবর, বিধানসভা ভোটের আগে সংগঠনে রদবদল করে নিতে চাইছে শীর্ষ নেতৃত্ব। এটাই শেষ সুযোগ। বাংলার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সাংগঠনিক রদবদলে পর্যবেক্ষকের ভূমিকা পালন করবেন কেন্দ্রীয় নেতা মুরলিধর রাও।


আরও পড়ুন- হিংসা থামাতে মুখ্যমন্ত্রী আবেদন করেন না ব্যবস্থা নেন? মমতাকে নিশানা নাড্ডার